ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বি মানেই বাঙালির অ্যাড্রনালিন রাশ! ঘটি-বাঙাল থেকে চিংড়ি-ইলিশের তুই-তোকারি ঝগড়া… সমর্থকদের গগনভেদী চিৎকার.. আর শনিবার ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বি ম্যাচের প্রাক্কালেই সদলবলে মীর আফসার আলি নিয়ে এলেন নতুন উপহার- Awesome Saala! গানের ভিডিও দেখেই শোরগোল নেটপাড়ায়।
Awesome Saala-র ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে 'ব্যান্ডেজ'-এর তরফে রিলিজ করা হল নতুন গান। ভিডিওতেও ততোধিক চমক। কখনও বাগানিয়াদের দলের উল্লাস আবার কখনও বা ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের উন্মাদনা.. 'অসামশালা'র ভিডিওয় লাল-হলুদ, সবুজ-মেরুন মিলেমিশে একাকার। তবে মেরিনার্সদের দাবি, "ব্যান্ডেজ নাকি মনেপ্রাণে ইস্টবেঙ্গল!" গানের ভিডিও রিলিজ করতেই অনুরাগীদের 'রসিক' খোঁচা! তাই নাকি? মুখ খুললেন মীর আফসার আলি।
'অসামশালা' ভিডিওর মলাটে লেখা 'যতবার ডার্বি ততবার…'। পাশেই জ্বলজ্বল করছে লোগো। অনুরাগীদের নজর কেড়েছে লাল-হলুদে লেখা গানের নাম 'অসামশালা'। আর সেটা নিয়েই প্রশ্নের উত্থাপন যে, মীর নিজে কোন দলের সমর্থক?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার কাছে মীর আফসার আলির রসিক উত্তর, "গানটা আদতে নির্দিষ্ট কোনও দলের হয়ে নয়। ডার্বি ম্যাচের আগে সমর্থকদের মধ্য তর্কাতর্কি, বাকবিতণ্ডা তো হবেই.. তবে যে দলই জিতুক না কেন সেলিব্রেশন মাস্ট! আর সেই জয়ের উদযাপন যেন 'অসামশালা' গানটা দিয়েই হোক।"
<আরও পড়ুন: প্রথমদিনেই নন্দনে ‘হাওয়া’ গরম! চঞ্চলের ছবি দেখতে সকাল থেকে উপচে পড়ল ভিড়>
ব্যক্তিগতভাবে মোহনবাগান না ইস্টবেঙ্গল সমর্থক, সেই বিষয়ে স্পিকটি নট হলেও মীরের মন্তব্যে মিলল ইঙ্গিত, "আমি এই বিষয়ে মুখ না খুললেও চারদিকে সকলে বলছেন আমরা নাকি ইস্টবেঙ্গল সমর্থক, কারণটা হচ্ছে লাল-হলুদে লেখা গানের লোগো। আসলে ডার্বির কথা মাথায় রেখে তো লোগোটা তৈরি হয়নি, নইলে সবুজ-মেরুন করে দেওয়া যেত।"
ডার্বি ম্যাচের ঝলক নিয়ে তৈরি গানের ভিডিও পোস্ট করে মীরের কেতাদূরস্ত ক্যাপশন- "কি মনে হয় আজ রাতে চিংড়ির মালাই কারি না ভাপা ইলিশ? যে দলই জিতুক… সেলিব্রেশন হবে Awesome Saala-র সঙ্গে নেচে!" আর সেই ক্যাপশন দেখেই জনৈকর মন্তব্য, চিংড়ি-ইলিশ যাই হোক সর্ষে-পোস্তর দাম বেড়ে গিয়েছে। তা নিয়ে রসিকতা করলেন মীর নিজেও। তবে শনিবার সন্ধেবেলা ৭টা থেকেই গোটা ব্যান্ডেজ নিয়ে টিভির সামনে বসে যাবেন, ডার্বি দেখতে, সেকথাও জানালেন তিনি।