বনি সেনগুপ্ত। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির এই অভিনেতা বর্তমানে নিত্যদিন খবরে শিরোনামে। শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত জেলবন্দি কুন্তল ঘোষের সঙ্গে তাঁর আর্থিক লেনদেনের হদিশ পেতেই ইডির কড়া জেরার মুখে পড়তে হয় বনিকে। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি থেকে সিনেইন্ডাস্ট্রির অন্দরমহলে তোলপাড়। বনির হয়ে মুখ খুলে কটাক্ষ শুনতে হয়েছে মা পিয়া সেনগুপ্তকেও। দেদার ট্রোলড হতে হচ্ছে প্রেমিকা কৌশানি মুখোপাধ্যায়কেও।
কারণ, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে একদিকে যেমন এইপ্রথম টলিপাড়ার 'লিডিং' অভিনেতার ডাক পড়েছে। তেমনই খ্যাতনামা ফিল্মি পরিবারের ছেলে বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta)। দাদু সুখেন দাস, মা পিয়া সেনগুপ্ত অভিনেত্রী তথা ইম্পার সভাপতি, অন্যদিকে বাবা অনুপ সেনগুপ্ত জনপ্রিয় পরিচালক। তাঁকে নিয়ে যে চর্চা হবে, তা বলাই বাহুল্য। সেই বনিই বান্ধবী কৌশানির সিক্রেট ফাঁস করতে গিয়ে নিজে ধরা পড়েন!
শোনা গিয়েছে, সিনেমা বানানোর এতটাই শখ ছিল কুন্তল ঘোষের যে, একটা প্রযোজনা সংস্থাও খুলে ফেলেছিলেন। তাঁর প্রযোজিত ছবি দেখানো হয় কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। এরপর বনি সেনগুপ্তর সঙ্গেও নাকি প্রযোজনা সংস্থা খোলার মতলবে ছিলেন কুন্তল! এবার স্বাভাবিকভাবেই মাথায় প্রশ্ন উঁকি দিতে পারে যে, কেন, কোথায় কিংবা কীভাবে কৌশানীর সিক্রেট ফাঁট করতে গিয়েছিলেন বনি সেনগুপ্ত?
<আরও পড়ুন: এনা সাহার ‘কুন্তল-কানেকশন’! ‘ED এখনও ডাকেনি?’ ভয়ঙ্কর অভিযোগে নায়িকা বললেন..>
তাহলে বলে দেওয়া যাক, একবার শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের 'অপুর সংসার' শোয়ে যান বনি সেনগুপ্ত ও কৌশানী মুখোপাধ্যায়। সেখানেই সঞ্চালক-অভিনেতা দুজনের কাছ থেকে জানতে চেয়েছিলেন যে, কে বেশি জোরে নাক ডাকে? উত্তরে একে-অপরের দিকে আঙুল তোলেন। ব্যস, অমনি রহস্যের উন্মোচন।
নাক ডাকা প্রসঙ্গে যখন বনি-কৌশানী ঝগড়া করছেন, তখন শাশ্বতই হাটে হাঁড়ি ভাঙেন। প্রশ্ন ছোঁড়েন- একে-অপরের এই সিক্রেটটা তাঁরা কীভাবে জানেন? কোন দিকে ইঙ্গিত, তা বুঝতে পেরে বনি জানান, মেকআপ ভ্যানে ঘুমোতে দেখেছেন। যদিও শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের ইঙ্গিত ছিল তাঁজের লিভ-ইনের দিকে। তবে দুজনের লজ্জা পেয়ে যান।