/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/07/Imran-khan.jpg)
দিলীপ কুমারের প্রয়াণে শোকবার্তা পাক-প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের
Pakistan Government on Dilip Kumar's Demise: শিল্পীকে ধরে রাখে সীমান্তের কী সাধ্যি! দিলীপ কুমারের (Dilip Kumar) ক্ষেত্রে এই কথা যেন অক্ষরে অক্ষরে খাটে। ১৯২২ সালে জন্ম পাকিস্তানের (Pakistan) পেশোয়ারে হলেও কর্মস্থল এবং জীবনের সিংহভাগ কাটিয়েছেন মুম্বইতে। আর তাই ভারতীয় সিনেদর্শকদের কাছে তিনি যতটা সমাদৃত, পাক-দর্শকদের কাছেও ঠিক ততটাই সম্মান, ভালবাসা পেয়েছেন। পেশোয়ারের কিস্সা খাওয়ানি বাজারের গলি থেকে বলিউডের স্টারডম পাওয়াটা নেহাত-ই সোজা ছিল না। স্ট্রাগলের মুখ দেখতে হয়েছিল বলিউডের এই সুপারস্টারকেও। গোড়ার দিকে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সিনেমার কাজে লেখালেখি করতেন। পরে দেবিকারানির নজরে পড়েন ইউসুফ খান। সেখানেই ঘুরে যায় জীবনের মোড়। সায়রা বানুর বিপরীতে 'জোয়ার-ভাঁটা' ছবির দৌলতে অভিনয়ে শিঁকে ছিড়লেও তা দর্শকমনে খুব একটা ঠাঁই পায়নি। তবে দেশ স্বাধীন হওয়ার বছরেই অর্থাৎ ১৯৪৭ সালে 'জুগনু' সিনেমার সুবাদে অভিনেতা হিসেবে সাফল্যের মুখ দেখলেন দিলীপ কুমার। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি।
১৯৩০ সাল নাগাদ বাবার সঙ্গে ঝগড়া করে পেশোয়ারের বাড়ি ছেড়ে চলে আসা ইউসুফ ধীরে ধীরে বলিউডে পরিচিতি পান 'ট্র্যাজেডি কিং', 'দ্য ফার্স্ট খান' হিসেবে। বর্ষীয়ান অভিনেতার প্রয়াণে তাই আজ ভূ-ভারত যতটা শোকাহত, ঠিক ততটাই শোকের ছায়া নেমে এসেছে পাকিস্তানের পেশোয়ারে। দিলীপ কুমারকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েছে ইমরান খান সরকার।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/07/imran1.jpg)
<আরও পড়ুন: ‘ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে দিলীপ কুমারই শেষ কথা’, শোকপ্রকাশ অমিতাভ বচ্চনের>
নওয়াজ শরীফের আমলে পাক-সরকার অভিনেতার পেশোয়ারের কিস্সা খাওয়ানি বাজারের বাড়িটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করেন। যা আজও 'হাউস অফ দিলীপ কুমার' বলে পরিচিত। ১৯৮৮ সালে দিলীপ সাহেব একবার পাকিস্তানে গিয়েছিলেন নিজের পৈতৃকভিটে পরিদর্শনে। গিয়ে সেই মাটিতে চুম্বন করে আসেন। তার ৯ বছর পর পাকিস্তান সরকারের তরফে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান 'নিশান-এ-ইমতিয়াজ'-এ ভূষিত করা হয় তাঁকে পাক-সরকারের তরফে।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/07/dilip-imran1625642306-0.jpg)
দিলীপ কুমারের প্রয়াণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) জানিয়েছেন, "আজ গভীরভাবে শোকাহত। কোনও দিন ভুলব না প্রয়াত মাকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে পাকিস্তানের এক ক্যান্সার হাসপাতালের জন্য তিনি যেভাবে ত্রাণ জোগাড় করেছিলেন। গোড়ার দিকে ১০ শতাংশ ত্রাণ জোগাড় করতে গিয়ে বেগ পেতে হয়েছিল। কিন্তু ওঁর সহায়তাতেই পরে পাকিস্তান ও লন্ডন থেকে মোটা অঙ্কের ত্রাণ অনুদান আসে। আমাদের প্রজন্মে ভার্সেটাইল এবং সেরা অভিনেতা বলতে দিলীপ কুমারকেই স্মরণ করা হয়।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন