/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/05/pallavi-2025-09-05-11-52-20.jpg)
যা বললেন পল্লবী...
দ্যা বেঙ্গল ফাইলস নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। এই এমন একটি ছবি নোয়াখালি এবং তৎকালীন বাংলার গল্প বলেছে বলেই দাবি করেছেন পরিচালক বিবেক এবং প্রযোজক পল্লবী যোশী। এই ছবি বাংলায় রিলিজ করেনি। এবং, বারবার এই ছবি নিয়ে বাংলার নানা এলাকায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এবং কলকাতা হাইকোর্টে নানা মামলা পর্যন্ত করা হয়েছে। আজকে এই ছবি ভারতের অন্যত্র মুক্তি পেলেও বাংলায় পায়নি।
কিন্তু, রুলিং পার্টির তরফে যে নানা সমস্যা দেখা দেয়, এই নিয়ে আগেও আওয়াজ তুলেছিলেন বিবেক এবং পল্লবী। বাংলায় তাঁদের ছবি নিয়ে যে জোরজুলুম চলছে, এমনটাও জানিয়েছিলেন। তবে, একথা বলেছিলেন যে কলকাতা হাইকোর্ট এবং বাকি আইন ব্যবস্থার পর ভরসা ও আস্থা আছে। এদিকে, গতকাল পল্লবী নিজের সুরক্ষার খাতিরেও আওয়াজ তুলেছেন। সমাজ মাধ্যমে একটি চিঠি শেয়ার করেছেন তিনি।
বাংলা থেকে নাকি সিনেমাহলের কর্তৃপক্ষরা জানিয়েছেন, তাঁরা অত্যন্ত চাপের মুখে। শাসকদলের তরফে নাকি তাঁদের ভয় দেখানো হয়েছে। তিনি নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করেই সমাজ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন। মাননীয়া রাষ্ট্রপতির কাছে নিজের সুরক্ষার আর্জি জানিয়ে তিনি লিখলেন... "ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমি আপনার শরণাপন্ন হচ্ছি, কোনো অনুগ্রহ চাওয়ার জন্য নয়, বরং সুরক্ষার জন্য। দ্য বেঙ্গল ফাইলস, ফাইলস ট্রিলজির শেষ অধ্যায়, মুক্তি পেতে চলেছে ৫ই সেপ্টেম্বর। এই চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে চাপা পড়ে থাকা সত্য—হিন্দু গণহত্যার কাহিনি, ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে, নোয়াখালির ভয়াবহতা এবং দেশভাগের ট্র্যাজেডি।"
Ankush Hazra Exclusive: লাখ টাকার লক্ষীলাভে অর্থ সাহায্যের প্রস্তাব, অঙ্কুশ বললেন, 'ওটা আমার কষ্টের রোজগার, ইডি ডাকলেও'
কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে সত্য আজ অবরুদ্ধ। পল্লবী যোশী সোজাসুজি জানালেন, বাংলায় নাকি হুমকির মুখে ফেলা হয়েছে থিয়েটারের মালিকদের। বললেন, "বহু বছর আগে যখন ছবিটি সম্পূর্ণ হয়নি, তখনই মুখ্যমন্ত্রী এই সিনেমাকে বিদ্রূপ করেছিলেন। এরপর থেকে ভিত্তিহীন এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, ট্রেলার পুলিশের মাধ্যমে আটকানো হয়েছে, এমনকি পত্রিকাগুলোকেও বিজ্ঞাপন দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমার পরিবার প্রতিদিন রাজনৈতিক কর্মীদের দ্বারা হুমকির মুখে রয়েছে। এখন হল মালিকরা আমাদের জানিয়েছেন, তারা হুমকি ও ভয়ের কারণে ছবিটি দেখাতে অস্বীকার করছেন, শাসক দলের কর্মীদের সহিংসতার আশঙ্কায়। কোনও আনুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা নেই, কিন্তু কার্যত একটি অঘোষিত ব্যান কার্যকর হয়েছে, যাতে ছবিটি দর্শকের কাছে পৌঁছতেই না পারে। বরেণ্য অভিনেতা, পদ্মভূষণ ভিক্টর ব্যানার্জি সহ বহু বাঙালি সংগঠন, দেশ-বিদেশে ইতিমধ্যেই এই চলচ্চিত্রকে সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁদের এই সহায়তা প্রমাণ করে যে সত্যের পাশে আজও অনেকে আছেন।"
বেঙ্গল ফাইলস সত্যের ওপর নির্মিত। কিন্তু সত্যেরও সুরক্ষা প্রয়োজন। রাষ্ট্রপতিকে তিনি আরও অনুরোধের সুরে বললেন, "মাননীয়া রাষ্ট্রপতি, আমি কোনো চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে স্থান চাই না, চাই শুধু সত্যের জন্য, শিল্পের জন্য, মা ভারতীর আত্মার মুক্তির জন্য। আপনিই আমার শেষ আশা। অনুগ্রহ করে আমাদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করুন এবং দ্য বেঙ্গল ফাইলস যেন শান্তিপূর্ণভাবে পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পায়, সেই ব্যবস্থা করুন।"