গরমের দুপুরে একদিন পৌঁছে যাওয়া গেল টালিগঞ্জে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে। পৃথা সেখানে চলে এসেছিল। হাতে চায়ের কাপ নিয়ে সোজা গন্তব্য পরিচালকের বাড়ির উপরের ঘরে। শুরু হল আড্ডা, একথা-সেকথার পর পৃথা অর্থাৎ পাওলি দামের কাছ থেকে শুনে নেওয়া গেল 'কণ্ঠ'র নেপথ্য গল্প।
'কণ্ঠ'-র প্রস্তাবটা কীভাবে এল?
শিবুদা একদিন ফোন করে বলে একটা ছবি নিয়ে ভাবছি, তো তুই কবে দেখা করতে পারবি। আমি তখন কলকাতায় ছিলাম না। ফিরে এসে এই বাড়িতেই স্ক্রিপ্ট রিডিং হল। অনেক বছর পর একটা ভাল স্ক্রিপ্ট রিডিং শুনলাম। আর...
বলুন...
এটা না সত্যি, নন্দিতাদি-শিবুদার ছবিতে চরিত্রটা প্রাধান্য পায় বেশি। অভিনেতা হিসাবে প্রত্যেকের চ্যালেঞ্জ থাকে। এইভাবেই শুরু হল আমার 'কণ্ঠ'র জার্নি।
ব্যক্তিগতভাবে কি পাওলি যে কোনও রকম নেশার বিরুদ্ধে?
(একটু ভেবে) দেখুন আমি একটু হেলদি লাইফস্টাইলে বিশ্বাস করি আর সেটা মেনে চলারও চেষ্টা করি। কিন্তু কীসের থেকে কী হয় ওভাবে জানা যায় না। সাবধানতা তো বজায় রাখতেই হবে। খাবার, জিম কিংবা যোগা, সঙ্গে নো স্মোকিং নো ড্রিংঙ্কিং তো মানা উচিতই। একটা ঘটনা ঘটেছিল...
আরও পড়ুন, ‘তথাগতর প্রতিভা নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই আমার’: প্রিয়াঙ্কা
বলুন না...
কিছু বছর আগে একটা ছবির ডাবিংয়ের সময় একটা পিচ লাগছিল না। আসলে তার আগে সিঙ্ক সাউন্ডে একটা ছবি করতে গিয়ে চিৎকার করতে হয়েছিল। আমার একটু বেশি কথা বলার অভ্যেস তো আছেই (হাসি)। তখন ডাক্তার বলেছিল, শুটিং ছাড়া বাকি সময়টা একটু চুপ থাকতে।
সেটা পাওলির কাছে কতটা শাস্তি?
প্রথম প্রথম একটু অসুবিধে হতো। দেখে চুপচাপ মনে হলেও কাছের মানুষজন জানে আমি কীরকম। তারপর থেকে অভ্যেস হয়ে গেছে। এইটা না আমায় অনেক শান্ত করেছে।
প্রথমবার শিবপ্রসাদের সঙ্গে কাজ। পরিচালক ও অভিনেতা শিবুকে কেমন লাগল?
প্রোডাকশনেও শিবু (হাসি)! সুপারম্যান, কোন সুইচটা যে কখন অফ-অন করছে বোঝা যাচ্ছে না। কী সুন্দর মিশ্রণ ধরতে পারবেন না। আর নন্দিতাদি থাকায় বাড়তি সুবিধে ছিল। আমি অভিনেতা শিবুকেই বেশি পেয়েছি।
অর্জুনের জায়গায় কখনও পাওলি দাঁড়িয়েছে? কখনও মনে হয়েছে যদি আপনার কন্ঠ রোধ হয়?
বাবা! সারাক্ষণ তাড়া করেছে এই ভাবনাটা। কাস্ট আর ক্রু তো ভাবত। কেউ সিগারেট খেলে বলতো। নো স্মোকিং জোন হয়ে গিয়েছিল। বাড়িতে এসেও এই ভাবনাটা থেকে বেরোতে পারতাম না। তবে 'কণ্ঠ' জয়ের কথা বলবে।