একের পর এক ছবিতে ব্যস্ত অভিনেত্রী। শ্বশুড় বাড়ি, সহকর্মী সবার কাছে স্নেহের পাত্রী। সঠিক কথাটা সটান মুখের উপরে বলতে ছাড়েন না। আবার কাওকে সময় দিলে ঘড়ির কাঁটা মেপে সময়ে হাজির। তারকা সুলভ ট্যানট্রমে একটু পিছনের সারিতেই। কথা হচ্ছে পাওলি দামকে নিয়ে। এদিন সাংবাদিক সামান্য দেরিতে পৌঁছলেও মিষ্টি হাসি দিয়ে বললেন, 'ইটস ওকে'। তারপরেই শুরু হয় আড্ডা, সঙ্গে অবশ্য ব্ল্যাক কফি।
ফের প্রতীমের পরিচালনায় ছবি, চিত্রনাট্য শুনে প্রথম প্রতিক্রিয়া কী ছিল?
ছবিটার নাম তো প্রথমে ইঙ্ক ছিল।যেটা ওঁর একটা ওয়ান অফ দ্য বেস্ট চিত্রনাট্য। আসলে প্রতীমের ছবির মধ্যে থ্রিলারের ছোঁয়া এমনিই থাকে। ব্যক্তিগতভাবে মানুষের কিছু পছন্দ হয় তো! সেরকমই স্ক্রিপ্ট ওর অসাধারণ লেগেছিল তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তাছাড়া খুশি হয়েছিলাম পরবর্তীতে ছবির নাম বদলে যাওয়ায়, কারণ এতে দর্শক সরাসরি নিজেকে রিলেট করতে পারবে।
চরিত্ররা...
চরিত্রগুলো সম্পর্কে বলতে হলে সবথেকে ভাল লেগেছে আনকোরা বিষয়টা। যে কয়েকটা গোয়েন্দা চরিত্র আমরা দেখেছি প্রত্যেকটা বইয়ের পাতা থেকে উঠে আসা। প্রত্যেকের মধ্যে আঁতেল ম্যানারিজম, সে তো এভাবেই তাকাবে, তার 'সেন্স অফ হিউমার' অসাধারণ হবে, তাকে দেখতে 'লার্জার দ্যান লাইফ' হবে। এক কথায় কোনও রহস্য সমাধানের জন্য যা যা গুণ একজনের মানুষের মধ্যে থাকা প্রয়োজন প্রতিটা থাকবে। শান্তিলাল ঠিক তার উল্টো। ছাপোষা, সাধারণ মানুষ। সেও যে গোয়েন্দা হবে সেই গন্ধটা পাওয়া যাবে না (হাসি)।
আরও পড়ুন, ‘গুমনামী’-র জন্য আইনি নোটিস পেলেন সৃজিত
নন্দিতা (ছবিতে পাওলির চরিত্রের নাম)
এই যে চরিত্রটা আমাকে অফার করা হয়েছিল নন্দিতা, প্রথমবার সুপারস্টার নায়িকার ভূমিকায় পর্দায় এসেছি, যে রাজনীতিতেও আসছে। অনেক লেয়ারস রয়েছে চরিত্রটায়। (একটু ভেবে) নারীবাদী ঠিক নয়, আমাদের সমাজের মেয়েদের পরিস্থিতিটা বদলাতে চায়। ছবির সংলাপে বলতে হলে- ''বাই দ্য ওম্যান, ফর দ্য ওম্যান, অফ দ্য ওম্যান''। ও সমাজের এমন একটা জায়গায় যেখানে ও চাইলেই নিজের মনের ইচ্ছেয় যেখানে খুশি যেতে পারে না, রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খেতে পারেনা...
পাওলি পারে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খেতে?
(হাসি) আমি মাঝে মধ্যে খেয়েও নিই।
মবড হয়ে যান না?
সেটাই তো বুদ্ধি করে মাথা খাটিয়ে করতে হয়।
আরও পড়ুন, প্রজাপতির সন্ধানে আনকোরা গোয়েন্দা, তবে রহস্য জমল কি?
টলিউডে নাকি বিভিন্ন বিষয়ে কাজ হচ্ছেনা, কিন্তু সম্প্রতি জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চেও প্যারালাল ছবির সম্মানিত হয়েছে।
দেখুন জাতীয় পুরস্কার নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। তবে নিশ্চয়ই অনেক ধরনের বিষয় নিয়ে ছবি হচ্ছে। যেখানে একটা সময়ে ভাবতেই পারতাম না 'সাঁঝবাতি'-র মতো ছবি হবে, সেখানে দেব-পাওলিকে কেউ একসঙ্গে ভাবছে।'পাসওয়ার্ড' এক্কেবারে মেইনস্ট্রিম ছবি, অথচ বিষয়টা ডার্ক ওয়েব।
আরও পড়ুন, আপনি নজরবন্দী, সেই সুযোগেই ফাঁস ‘পাসওয়ার্ড’
দেবের সঙ্গে কাজ করে কেমন লাগল?
সত্যি প্রযোজক হিসাবে দেব ভীষণ ভাল। ভীষণ প্যাম্পার করে। অভিনেতা প্রযোজক হলে সহকর্মীদের খুব খেয়াল রাখে, এটা আমি পরমের (পরমব্রত) ক্ষেত্রেও দেখেছি, দেবের বিষয়েও দেখলাম।মানুষ হিসাবে ও আসাধারণ, সেটে একটা পজিটিভ ভাইব তৈরি করে।