অনুষ্কা শর্মা প্রযোজিত বুলবুল দর্শকদের কাছ থেকে প্রভূত প্রশংসা করেছেন। কেবলমাত্র চিত্রনাট্য নয়, মুখ্য চরিত্রদের অভিনয় মোহিত করেছে সিনেবাফদের। অনভিতা দত্তর পরিচালনায় এই সিরিজে দেখা গিয়েছে তৃপ্তি দিমরি, অভিনাশ তিওয়ারি, রাহুল বোস, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও পাওলি দামকে।
Advertisment
সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো কলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলল টিম বুলবুল। সেখানেই পরিচালক জানালেন, পাওলিকে শেষ মুহুর্তে ফাইনাল করা হয়। অনভিতা বলেন, ''সহ-প্রযোজক কর্ণেশ শর্মা পাওলির কথা আমাদের বলেন এবং শুটিং শুরু হওয়ার দুদিন আগে ওকে ফাইনাল করা হয়।''
এত কম সময়ে তোমাকে কাস্ট করা হয়েছে, কিন্তু পাওলির হ্যাঁ বলার কারণ কি? পাওলির বক্তব্য, ''প্রতিটা শিশুর মতোই আমারও পরীদের কাহিনি ও লোককথার প্রতি বরাবরই আকর্ষণ ছিল। বিশেষ করে বাংলার গল্প হলে তো বটেই। বোধহয় আমরা প্রত্যেকেই এই সমস্ত কাহিনি শুনে বড় হয়েছি এবং প্রথমবার এ ধরনের কোনও প্রজেক্টে কাজ করার সুযোগ এল। এটা এমন লোককথা যা সামাজিক সমস্যা নিয়ে কথা বলে। সমাজে নারীবিদ্ধেষের মতো বিষয়গুলি তুলে ধরে। এটাও কারণ ছিল কাজ করার পেছনে। আর অবশ্যই চরিত্রটার নাম-বিনোদিনী। চরিত্রটা করতে গিয়ে অনুভূতিগুলোর মিল খুঁজে পেয়েছি, তাছাড়া বিনোদিনী আমার প্রিয় চরিত্র। আর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল আমি প্রথম যখন স্ক্রিপ্টটা পড়ি মনে হয়েছিল চরিত্রটা ভীষণ অদ্ভুত, কিন্তু পরবর্তীতে যতবার পড়েছি ততবার অন্য মানে পেয়েছি বিনোদিনীর।''
বিনোদিনী নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অভিনেতা আরও বলেন, ''এটা সবথেকে ট্র্যাজিক চরিত্র, যে পুরুষতান্ত্রিকতার বলি। সে এমন কুঁড়ি যা কখনও ফুটে ওঠেনি। বিনোদিনীকে কিছু নির্দিষ্ট বিষয় শেখানো হয়েছে এবং সে সেটাই বিশ্বাস করে চলেছে। সে তার সমস্ত ইচ্ছা এবং আবেগকে আটকে রেখেছে। যদিও দেখা যায় সে তার সমস্ত প্রাপ্তি উপভোগ করছে, কিন্তু সেটা কেবল ছদ্মবেশ। বিনোদিনী এমন প্রেম চাইছে যা সে কখনও পায়নি। আমার মাঝে মাঝে ওর জন্য খারাপ লাগে। এছাড়াও, দৃঢ়, নির্ভীক চরিত্রে আমি অভিনয় করেছি, তবে বিনোদিনীর মতো ভুক্তভোগীর চরিত্র আমার কাছে নতুন।''
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন