গত বুধবারের সুপার সাইক্লোন আমফানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁর সংসদীয় এলাকা। বৃহস্পতিবার সেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই বসিরহাট-হিঙ্গলগঞ্জ যান তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে বহ মানুষ গৃহহারা হয়েছেন। সাংসদ নুসরতের মাধ্যমে তাই তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন পরমব্রত-রূপম ইসলাম-মৌসুমী দাশগুপ্ত।
ঝড়ের তান্ডবে প্রবল ক্ষতির সন্মুখীন হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, হাড়োয়া ও মিনাখার মানুষরা। এই বিপর্যয়ে তাঁদের সকলের পাশে দাঁড়াতে সোশাল মিডিয়ায় বিশেষভাবে আবেদনও করেন অভিনেত্রী-সাংসদ। এদিন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, রূপম ইসলাম, মৌসুমী দাশগুপ্তদের আলাদা ভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে নুসরত বলেন, "অনেক অনেক ধন্যবাদ রূপম ইসলাম, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, মৌসুমী দাশগুপ্ত এবং তাঁদের বন্ধুদের বসিরহাট কেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ওনাদের সাহায্য করার জন্য। ধন্যবাদ ওই সকল প্রবাসী বঙ্গবন্ধুদের যাঁরা এই ত্রাণের জন্য আর্থিক সাহায্য পাঠিয়েছেন। আমি চিরঋণী রইলাম।"
আরও পড়ুন, মোদীকে কুকথা, নোবেলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের
এদিকে আমফান দাপটে বাঁধ ভেঙে সুন্দরবনের একাধিক এলাকা জলের তলায়। সেই আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ ছাড়াও নৌকায় করে ন্যাজাট, ধামাখালির ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন বসিরহাটের সাংসদ। বিদ্যুৎ-খাদ্য- পানীয় জল এলাকার সকলে যেন পান সে বিষয়ে আধিকারিকদের তৎপড়তার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশও দেন। একাধিক বন্যাকবলিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে খাবার ও পরম-রূপম-মৌসুমীদের পাঠানো ত্রাণ তুলে দেন বসিরহাটের বিধায়ক। পরবর্তীতে হিঙ্গলগঞ্জের বি ডিও অফিসে গিয়ে বিধায়ক এবং অন্যান্য জনপ্রতিনিধির নিয়ে বৈঠকও করেন।
উল্লেখ্য, আমফানে এতটাই ক্ষতির মুখে রয়েছে সুন্দরবনের এই এলাকাগুলি বিপর্যয়ের পরদিনই এই সব এলাকা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এসে পরিদর্শন করে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন