Paran Bandopadhyay on Bengali language: মোদের গরব মোদের আশা - আ মরি বাংলা ভাষা। এই ভাষা নিয়ে লড়াই কম হয়নি। এই ভাষার জন্য মানুষ কম প্রাণ দেয়নি। এমনকি, এই ভাষা নিয়ে আন্দোলন হয়েছে প্রচুর। ফের আবার একই অবস্থা। শুধু কি তাই, যেখানে ২২টি ভাষার মধ্যে বাংলা ভাষা নথিভুক্ত রয়েছে, সেখানে কী করে বাংলা ভাষাকে এমন বলা হয়, এই নিয়েই চলছে আলোচনা। অমিত মালব্যর এই মন্তব্যের পর, থেকেই শুরু হয়েছে শোরগোল। এমনকি, বাংলার অনেকেই এই নিয়ে আওয়াজ তুলেছেন। তাঁর মধ্যে সৃজিত মুখোপাধ্যায় থেকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এছাড়াও, আওয়াজ তুলেছেন রূপম ইসলাম।
অভিনেতা ঋদ্ধি সেন তো সোজাসুজি অমিত মালব্যকে বাঁদরের সঙ্গে তুলনা করেছেন। আর এই নিয়েই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে, যখন পরান বন্দোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করা হল, তিনি কী উত্তর দিলেন? পরান বন্দোপাধ্যায়, সোজা সাপটা বেশ কয়েকটা উত্তর দিলেন। পরান বাবু বাংলা ভাষা নিয়ে এহেন তুলকালাম হওয়া ঘটনাকে, রাজনৈতিক এবং ক্ষমতার প্রয়োগ বলেই বর্ণনা করেছেন। বর্ষীয়ান অভিনেতার কথায়..
"বাঙালি হিসেবে আমার এটাই মনে হয়, ধস্তে ধস্তে বাঙালি এখন শেষ। সবকিছু বিসর্জন দিতে দিতে তাঁরা ক্রমাগতই তলিয়ে যাচ্ছে। তাঁর মাথা শুধু একটু উঁচু আছে। বাকিটা পুরোটাই তো ডুবে আছে। বাংলা ভাষা বা বাঙালিকে নিয়ে কেউ কোনোদিনও এভাবে রগড়ারগড়ি কেউ কোনোদিন করেনি। ময়দা ঠাসা হচ্ছে যেন। সবকিছুই যেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। বাংলা ভাষা অন্যরকম। যে যার ভাষা নিয়ে গর্বিত। আঞ্চলিক ভাষা যার যার কাছে মায়ের পরে। আন্তর্জাতিক স্তরে, বাংলা ভাষা ৫ নম্বরে আছে। সেই ভাষা আমাদের কাছে গর্বের। কত সৃষ্টি হয়েছে এই ভাষায়। নোবেল এসেছে এই বাংলা ভাষায়। সারা বিশ্ব বাংলার সন্তানদের দিকে তাকিয়ে থাকে, যে এই মানুষগুলোর জন্য এই ভাষা কত সমৃদ্ধ। সব রাজ্যে মানুষ তাঁর নিজের ভাষাকে ভালবেসে এগিয়ে গিয়েছে। সেটাকে যখন স্বার্থান্বেষী মানুষ, এত খারাপ করে, সবকিছু গুলিয়ে যায়।"
তাহলে কি বাঙালির লেখা জাতীয় সংগীত বা বাঙালির লেখা রাষ্ট্রগান - পাল্টে ফেলা হতে পারে ভারতের বুকে? এই ঘটনা যদি ভারতের বুকে ঘটে, তবে? এই প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন... "সমাজের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে যেভাবে। মানুষের স্বার্থে আঘাত লাগছে। তাঁদের কথা কেউ ভাবছে না। মহত্ববোধ বা ভালবাসা সব গৌণ এখানে। এখন ক্ষমতা দখল বা এটা দখল এসব করে তো কিছু করার নেই না। আপাতত, মানুষের ওপর যা চলার চলবে।