তারকারা প্রথম থেকেই রাজপথে আন্দোলনে নেমেছেন। নানা বয়সের অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষও সঙ্গে রয়েছেন। আর এবার দেখা গেল বর্ষীয়ান অভিনেতা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
অসুস্থতা কাটিয়ে উঠেই, তিনি এলেন আন্দোলনে। জানালেন, আপ্লুত এই আন্দোলনের দৃশ্য দেখে। এমনকি এই তিলোত্তমার এহেন রূপ দেখে তিনি অভিভূত। তাই তো পরাণ বাবু আন্দোলনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বললেন...
হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম। খালি প্রার্থনা করছিলাম, যে একদিন যদি উঠে একটু আসা যায়। আন্দোলনে যোগ দেওয়া যায়। যেটা বলার, সেটা হচ্ছে মানুষ হতাশ হয় তো, একটা আন্দোলন চলতে চলতে মানুষ একটা সময় পর হতাশ হয়। দীর্ঘদিন এভাবে চলতে চলতে মানুষের হতাশা হওয়া খুব স্বাভাবিক।" বর্ষীয়ান মানুষটির কথা শুনতে ব্যস্ত তখন সকলে। সকলের মনে তখন পরাণ বাবু প্রলয়ের বিনোদ বিহারী, যিনি আন্দোলনের মঞ্চে বলছেন।
পরান বাবু বললেন... "হতাশ কিন্তু ধারেকাছে ওত পেতে থাকে। তাই একটু সাবধান। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। আমরা যদি একটু সমস্যায় পড়ি, তাহলেই কিন্তু মুশকিল। আমাদের সজাগ থাকতে হবে, তিনফুটের মধ্যে যেন হতাশা ঢুকতে না পারে। আর যাদের রাজত্বে বাস করছি..."
আরও পড়ুন - Tollywood Directors: পরিচালকদের বেশিরভাগের নাম আসবে যৌন হেনস্থাকারীর দলে, স্বরূপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা
নিজের পরবর্তী মন্তব্য এভাবেই শুরু করেন তিনি। অভিনেতার মন্তব্যে এমনটাই শোনা গেল, যে এই রাজত্বে ঢং বেশি। অভিনেতা বললেন, "যাদের রাজত্বে বাস করছি, তাদের আরও ঢঙের শেষ নেই। মানে সত্যি কথা বলতে গেলে, সমস্যা সমাধানের কোনও ইচ্ছেই নেই। আমাদের এখানে সমস্যা সমাধানের ভঙ্গিমা হয়। কিন্তু সমস্যাটা আসলে সমস্যাই রয়ে যায়। যেটা এখানে হল। আপনারা ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন। একটা চূড়ান্ত কিছু দেখতে চাই।"
উল্লেখ্য, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে শেষ দেখা গিয়েছে দেবের প্রধান ছবিতে। তাঁর আগে আবার প্রলয় সিরিজে কাজ করেছেন তিনি। বেশ গুরুত্বপূর্ন চরিত্র পালন করেছেন সেখানে।