তিনি টলিউডের ফ্যাশানিয়েস্তা। বাংলা সিনেমায় তাঁর কামব্যাক যদি 'পরিণীতা' হয়, তাহলে বলতেই হয় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী। রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে পরিচালক-অভিনেত্রীর রসায়ন, ঋত্বিকের সঙ্গে প্রথমবার কাজ করার অভিজ্ঞতা খোলা মনে বললেন নায়িকা। তাঁর প্রাণখোলা হাসির সঙ্গেই শুরু হল শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে আড্ডা।
ঋত্বিক কিন্তু আপনি কাস্ট হবেন শুনে প্রথমেই জাজ করেছিল, কিন্তু পরে ভুল ভেঙেছে নিজেই স্বীকার করেছেন। পরিণীতা-র জার্নি কেমন ছিল?
মেহুল চরিত্রটার জন্য মেন্টালি অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। প্রথম থেকেই একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল আমার জন্য। আর মেয়ে হিসাবে প্রথম থেকে শুনতে হচ্ছে বিয়ের পর প্রথম কাজ। ছেলেদের কিন্তু বলা হয়না। পরিণীতার শিরদাঁড়া মেহুল, সুতরাং শক্ত হতেই হত। সবথেকে বেশি যেটা শুনতে হয় রাজ চক্রবর্তী নিজের স্ত্রীকে কাস্ট করেছে। আমায় প্রমাণ করতে হত, স্ত্রীকে নয় একজন অভিনত্রীকে কাস্ট করেছে।
(প্রায় না থেমে বলে চললেন শুভশ্রী) এই চরিত্রটার জন্য বহু আগে থেকে তৈরি হচ্ছিলাম। এই যেমন দেখলেন আমার পরের ছবির চিত্রনাট্য এখন থেকেই চাইছি (গর্ভধারিণীর চিত্রনাট্য)। হোমওয়ার্কটা ভীষণ জরুরি। সারাক্ষণ মেহুলের মধ্যে থাকতাম। বারবার রাজ এবং সোহিনীদির (সোহিনী সেনগুপ্ত) সঙ্গে আলোচনা করেছি।
আরও পড়ুন, কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব, ফোকাস কান্ট্রি জার্মানি, রেট্রোস্পেকটিভে মৃণাল সেন-বেরনার্দো বের্তোলুচি
ছবি মুক্তি নিয়ে টেনসড?
প্রচন্ড। প্রত্যেকবার এটা হয়। কেমন যেন মনে হয় পরীক্ষার পর মার্কশিটের অপেক্ষা করছি। কিন্তু পরিণীতাকে নিয়ে একটা সুন্দর ইতিবাচক ভাইব তৈরি হয়েছে।মানুষ ছবিটা দেখতে চাইছে। দেখুন আমার ছবি তো আগেই হিট হয়েছে, তবে এবারে আনন্দটা আলাদা। প্রতিটা স্তরের মানুষ ছবিটা দেখতে চাইছে।
রাজ রিমেক ছবির পোস্টার বয়, পরিনীতা-র তকমা ঘুঁচবে এই ছবির পর...
এই বিভাজনটা না কেবলমাত্র টলিউডে রয়ে গেছে এখনও। কর্মাশিয়াল ছবি, প্যারালাল ছবি, রিমেক। আরে আমরা ছবি করি যাতে আমাদের কাজটা দর্শক অবধি পৌঁছয়। ভাল খারাপ তারা বলুক না। তাছাড়া ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় রাজের ছবির সবধরনের দর্শক রয়েছে। লে ছক্কা, প্রলয়-এর মতো ছবি তার দৃষ্টান্ত।
আরও পড়ুন, পকেট ক্যামেরায় পেশাদার সিনেমা! নতুন নজির পরিচালক রিংগো বন্দ্যোপাধ্যায়ের
ঋত্বিক চক্রবর্তীর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা...
দারুণ। এত সাধারণ, ভাল মানুষ সেটাই ওনাকে এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। মানুষটা না বিহেভ করে অভিনয় করেনা।সেটে তো বাবাইদা-র বাইরে ভাবতে পারিনি। প্রেমেও পড়েছি বাবাইদার।চরিত্রটা এতটাই জীবন্ত করে তুলেছিল।
ভেবেছিলেন কখনও মেহুলের চরিত্রটা করবেন?
এই গল্পটা সোশাল মিডিয়া থেকে আমার দিদি খুঁজে পায়। তারপর সেখান থেকে আমি পড়ি। জানেন, বারবার আমি রাজকে বলছি তোমার কোনও ছবিতে আমাকে ভেবোনা। যখন প্রেম করতাম তখন থেকে বলে এসেছি। প্রথমবার, লজ্জার ভেঙে বলেছিলাম মেহুল আমি করব। গল্পটা তোমাকে দিচ্ছি কিন্তু মেহুল আমি (হাসি)।