Payel-Arbaaz Movie: সমাজের বাস্তব চিত্র বহুবার উঠে এসেছে বলিউডি ছবিতে। মানুষ নিজেকে আধুনিক বলতে ভালবাসে, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতিতেও আধুনিকতার অনেক ছোঁয়া দেখা যায়। কিন্তু, প্রশ্ন একটাই, সত্যিই মানুষ আর সমাজ প্রকৃত অর্থে আধুনিক? বড় পর্দায় এবার সেই গল্প নিয়ে আসছেন বাঙালি কন্যা পায়েল মুখোপাধ্যায় ও বলিউড অভিনেতা আরবাজ খান।
'শুকরানা ফিল্মস'-এর প্রযোজনায় তৈরি হচ্ছে নতুন ছবি 'মূত্র বিসর্জন বর্জিত হ্যায়'। ছবিটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন সুনিল শুভ্রামণি। পাঁচ নম্বর স্বপ্নময় লেন-এ দর্শকের ভালবাসা পেয়েছেন পায়েল। তারপরই নতুন বছরে নতুন স্বপ্নের খোঁজে মুম্বই উড়ে গিয়েছেন। টলিউড থেকে বলিউড সহ বিভিন্ন ভাষার ছবিতে কাজের জন্য পরিচিত পায়েল।
আরবাজের সঙ্গে কাজ করার আগে মুম্বই থেকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইনের সঙ্গে কথা বললেন পায়েল। ৫ নং স্বপ্নময় লেনের সাফল্যকে সঙ্গী করেই নতুন কাজ শুরু করতে নিশ্চয়ই একটা আলাদা আনন্দ হচ্ছে? পায়েলের উত্তর, 'সে তো বটেই। দর্শক আমাদের ছবিকে ভালবেসেছে। এখনও পর্যন্ত কারও থেকে কোনও বিরূপ প্রতিক্রিয়া পাইনি। এটাকে যদি সাকসেস হিসেবে দেখা হয় তাহলে অবশ্যই ৫ নং স্বপ্নময় লেন সফল ছবি। আমি তো বিভিন্ন ভাষার ছবিতে কাজ করি। নতুন এই ছবিটার শ্যুটিং এই মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু হচ্ছে।'
'মূত্র বিসর্জন বর্জিত হ্যায়'-নামের মধ্যেই বোঝা যাচ্ছে, সমাজকে কোনও একটা মেসেজ দেবে এই ছবি। এই কথার প্রেক্ষিতে পায়েল বলেন, 'হ্যাঁ, এই ছবি থেকে নাগরিক সমাজ একটা সোশ্যাল মেসেজ পাবে। স্বচ্ছ ভারত অভিযানকে আমরা মাথায় রাখি। আমাদের দেশকে তো আমাদেরই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ছেলেরা অনেক সময় খোলা জায়গায় মূত্র বিসর্জন করে সেটা যে ঠিক নয় সেই বিষয়টাই তুলে ধরা হবে এই ছবিতে। প্রায় ১০০০ বছর পুরনো প্রাচীন ইতিহাসকে গল্পে কানেক্ট করা হয়েছে। মুনি-ঋষিরা যে শাপ দিত, যার ফলে মানুষের অভিশাপ লাগত সেই বিষয়গুলোর সঙ্গেই এগবে গল্পের জার্নি।' অর্থাৎ 'মূত্র বিসর্জন বর্জিত হ্যায়' অভিশাপ ও শাপমোচনের গল্প বলবে।
আরবাজের সঙ্গে স্ক্রিপ্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে বা কোনও কথাবার্তা? পায়েল জানান, 'না, আমাদের এখনও দেখা হয়নি। তবে এর মধ্যেই হবে। আমার ডেটটা এক-দুসপ্তাহ পরে আছে। তার মাঝে আমি একবার কলকাতাতেও ফিরব।' বলিউড থেকে দক্ষিণ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মতো বড় পরিসরে কাজ করে টলিউডে কাজ করতে কোনও অসুবিধা হয়? এই প্রসঙ্গে পায়েলের মত, 'টলিউডে কাজ করতে গিয়ে আমার মনে হয়েছে তাঁদের কঠোর পরিশ্রমী হতে হয়। ওখানে যেভাবে শট বা টেক টেকিং হয় সেটা যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ। কিন্তু, সাউথে শট নেওয়া হয় চটজলদি। তবে একটা কথা বলতে পারি, কলকাতায় কাজের ক্ষেত্রে ট্যালেন্টটা ভীষণ জরুরি। কলকাতার ছবি অ্যাক্টিং নির্ভর। অভিনয়ের উপরই গল্পটা দাঁড়িয়ে থাকে। কিন্তু, সাউথের ছবি ট্রিটমেন্ট বেস। সেই জন্যই কলকাতায় আমরা অনেক ভাল অ্যাক্টর পাই।'
২০২৫-এ কোন কোন ছবি মুক্তি পাচ্ছে? পায়েল জানান, 'রাজ বব্বরের ছেলে আর্য বব্বরের সঙ্গে একটি হিন্দি ছবি মুক্তি পাবে। সিনেমার নাম 'অন্তর যুদ্ধ'। অনির্বাণ বসু রায়ের একটা বাংলা ছবি আছে। যার নাম 'মনফকিরা'। এখানে আমি একজন পতিতা নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছি। একজন ডোমের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে মনফকিরা-তে। এই সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন অনিন্দ্য পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়'।