অসহিষ্ণুতা ও জয় শ্রীরাম ধ্বনি যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করছে। দেশব্যাপি এই অসহিষ্ণুতার আবহের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীকে আর্জি জানিয়ে প্রথমে চিঠি লিখেছিলেন দেশের ৪৯জন বিদ্বজ্জন। শনিবার বিহার আদালতে এই ৪৯ জন বিদ্বজ্জনেদের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ সহ আরও কয়েটি অভিযোগ আরোপিত হয়েছে এই মামলায়।
ভারতীয় দণ্ডবিধির বিবিধ ধারায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আলাদাতে মামলাটি দায়ের করেছেন বিহারের এক আইনজীবী। রাষ্ট্রদ্রোহিতা, দেশের অখণ্ডতা ক্ষুন্ন করা, ধর্মীয় ভাবাবেহে আঘাত সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। আবেদনকারী সুধীর কুমাপ ওঝা পিটিশনে কঙ্গনা রানাওয়াত, পরিচালক মধুর ভান্ডারকর ও বিবেক অগ্নিহোত্রী সহ ৬১ জনের নাম রয়েছে 'সাক্ষী' হিসাবে।
আরও পড়ুন, ”দম মারো দম” কি আর শোনা যাবে আশা ভোঁসলের কণ্ঠে?
পিটিশনার সুধীর কুমারের অভিযোগ, ওই ৪৯ জন বিদ্বজ্জন খোলা চিঠি লিখে ''দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছেন'' এবং ''প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের কাজে ব্যাঘাত আনছেন।'' এমনকী ''বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রবণতাকে সমর্থনে''র অভিযোগও আনছেন।
আগামী ৩ অগাস্ট মামলার শুনানি হতে পারে। মঙ্গলবার, জয় শ্রীরাম, গণপিটুনি, অসহিষ্ণুতা, ধর্মীয় মেরুকরণের মতো বিষয়গুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছিলেন অদূর গোপালকৃষ্ণণ, অপর্ণা সেন, অঞ্জন দত্ত, কেতন মেহতা, অনুরাগ কশ্যপ, গৌতম ঘোষ, শ্যাম বেনেগাল, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্টরা। চিঠিতে বলা হয়েছিল, ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেশে ক্রমশ যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করছে।
আরও পড়ুন, বিরোধী বুদ্ধিজীবীদের দুষে মোদীকে ফের চিঠি বিশিষ্টদের
ওই ৪৯ জনের প্রথম চিঠির পাল্টা হিসেবে ফের চিঠি লিখেছিলেন ৬১ জন বিশিষ্টরা। চিঠির বক্তব্য ছিল, প্রথম চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরা বেছে বেছে কয়েকটি ইস্যুতে সরব হচ্ছেন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আচরণ করছেন। সেই চিঠিতে সই করেছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত, প্রসূত যোশী, মধুর ভান্ডারকর, মালিনী অবাস্তির মতো ব্যক্তিত্বরা।
Read the full story in English