কাঞ্চন মল্লিক এবং পিংকি বন্দ্যোপাধ্যায় ডিভোর্সের পর থেকেই নিজেদের মধ্যে দূরত্ব মেনটেন করে চলেন। বিশেষ করে কাঞ্চন যখন, শ্রীময়ীকে বিয়ে করলেন, তখন নানা কটাক্ষ শুনতে হয় অভিনেতাকে। কিন্তু, পিংকির একটাই লক্ষ্য, ছেলেকে মানুষের মত মানুষ করে তোলা।
আর এইকাজটাই বরাবর তিনি করে এসেছেন। প্রসঙ্গে যখন আরজি করা হয় প্রতিবাদ করা, তখনো পিংকি ছিলেন সবার আগে। না হাইলাইট, হতে চাননি। বরং গলার স্বর উঁচুতে রেখে শুধুই মেয়েদের হয়ে প্রতিবাদ করে গেছেন। আর গতকাল যখন নবান্ন অভিযান হলো, তখনও নিজেকে আর চুপ করে রাখতে পারলে না।
কী কী শুনতে হল অভিনেত্রীকে?
গতকাল নবান্ন অভিযানের ক্ষেত্রেই, পিংকি একটি পোস্ট শেয়ার করেন, যাতে লেখা, "নবান্ন অভিযান" বেআইনী হলে, ১৯৯৩ সালের ২১শে জুলাই রাইটার্স অভিযান কি ছিল???" আর অভিনেত্রীর এই পোস্ট দেখেই, বেশিরভাগ মানুষ তাকে সমর্থন করেছেন। কেউ কেউ এমনও বলেছেন, ওটা তাহলে নাটক ছিল।
কিন্তু এর মাঝে নেতিবাচক মন্তব্য চোখে পড়ল। যেখানে অভিনেত্রীকে, সরাসরি কাঞ্চন মল্লিককে আক্রমণের প্রসঙ্গ উঠল। এক ব্যক্তি বললেন, পিংকি এটি সরাসরি কাঞ্চনকে আক্রমণ করতে লিখেছেন। কিন্তু পিংকি এইক্ষেত্রেও চুপ থাকলেন না। বরং বললেন, ভীষণ বাজে সময় এই ধরনের উল্টোপাল্টা মন্তব্য করবেন না। তারপরও অভিনেত্রীকে শুরু করা হলো আক্রমণ।
কেউ বলেন আপনি যে এত জ্ঞান দিচ্ছেন, আপনাকে তো কোন মিছিলে দেখলাম না। কিন্তু পিংকি চুপ থাকার পাত্রী না। সোজা বললেন, "প্রথম দিন থেকেই আমি ছিলাম মিছিলে। শুধু ফারাক একটাই, জাস্টিস ফর আরজি কর যখন বলেছি, তখন মোবাইল বের করে কোন ছবি তুলিনি বা ভিডিও করিনি। এমনকি মিডিয়ার বন্ধুরাও জানে আমি কি করেছি কি না করেছি।"
এখানেই শেষ নয়। প্রতিবাদী নানা রকমের পোস্টগুলি তিনি শেয়ার করে চলেছেন। তার পাশাপাশি তিনি প্রতিবাদ আন্দোলনের সামিল হচ্ছেন। কাউকে দেখানোর জন্য নয়, সত্যের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। মেয়েদের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে কাজ করছেন তিনি। পিংকি এক নন, তার পাশাপাশি অনেক তারকাই রাস্তায় নেমেছেন। যার মধ্যে সোহিনী সরকার শ্রীলেখা মিত্র এরা অন্যতম।