পিয়া চক্রবর্তী
দেখতে দেখতে একটা বছর পার হয়ে গেল। গত বছর এই দিনটায় ঘরোয়া এবং সাধারণভাবে আমাদের বিয়ের অনুষ্ঠান পালন করেছিলাম। সাদামাটাভাবেই বিষয়টা রাখতে চেয়েছিলাম। কারণ আমরা নিজেরা খুব ঘরোয়াভাবেই থাকতে ভালোবাসি। প্রথম বিবাহবার্ষিকীটা আমরা সেরকম কিছু করছি না। একেবারে নিজেদের মতো করে কোনও জাঁকজমক ছাড়াই সিম্পলভাবে পালন করছি। একবছর পার হয়ে যাওয়াটা একটা জার্নি। অনেক সুন্দর মুহূর্ত আমরা একসঙ্গে কাটিয়েছি। একে অপরকে আরও ভালোভাবে চিনতে পেরেছি। বন্ধুত্ব যেটা আগেও ছিল, বিয়ের পর সেই বন্ধনটা আরও মজবুত হয়েছে। একে অপরের প্রতি নির্ভরতার জায়গাটা আরও স্ট্রং হয়েছে। এছাড়া আমরা বেশ হইহই করে পোষ্যদের নিয়ে ঘুরতে ভালবাসি। এই একটা বছরে একটা 'ঘর' তৈরি করতে পেরেছি। যেটা আমাদের দুজনেরই খুব শান্তির জায়গা।
সারাদিন কাজের পর বাড়ি ফিরে এসে আমাদের একটা অলিখিত রুটিন তৈরি হয়ে গিয়েছে। যখন কলকাতায় একসঙ্গে থাকি তখন সন্ধ্যা থেকে রাতটা নিজেদের মতো করে কাটাই। তা সে বাড়ির সকলের সঙ্গে গল্প করে হোক বা নিজেরা গানবাজনা করে। পোষ্যদের নিয়েও সময় কাটাই। আমি বেশিরভাগ সময় কলকাতাতেই থাকি। পরম অনেক বেশি ট্রাভল করে।
এই জীবনচক্রটায় থাকতে কিন্তু, আমাদের দুজনেরই বেশ ভাল লাগে। আমরা লাইফটা এনজয় করি। আমাদের গানবাজনার ভিডিও মাঝেমাঝে শেয়ার করি, যদিও বাড়িতে সবসময়ই করি। মানুষ কিন্তু, আমাদের সেই মুহূর্তটার প্রশংসা করে। নিজেদের কোয়ালিটি সময়টা সকলের সঙ্গে ভাগ করব বলেই মাঝে মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করি।
আমাদের পোস্ট দেখে মানুষের যে ভাবনা আমরা ভাল আছি, সুখে আছি সেটা সত্যি। বিয়ে মানে শুধু একসঙ্গে থাকা বা ভাল সময় কাটানো সেটা নয়। অনক মুহূর্তের মধ্যে দিয়েই দুজনকে যেতে হয়। অনেক ঝড়ঝাপটা এসেছে, নেগেটিভিটি দেখেছি আর স্ট্রাগল যেগুলো হয়তো আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় কখনও শেয়ার করি না, এমনকী কারও সঙ্গেই না।
কিন্তু, সেগুলোও বৈবাহিক জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা পার্ট। ওই ঘটনাগুলোর সঙ্গে কী ভাবে স্বামী-স্ত্রীকে একসঙ্গে লড়তে হয় সেটা বিয়ের একবছরের প্রাপ্তি। ভালো-মন্দ সব সময়ই একে অপরকে সাপোর্ট দিতে পেরেছি। ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যা, কর্মক্ষেত্রের সমস্যা-স্ট্রাগল বা হতাশার যে জায়গাগুলো এসেছে সেখানে একে অপরের পাশে থেকে মোকাবিলা করাটাও আমাদের বৈবাহিক জার্নির গুরুত্বপূর্ণ পার্ট।
আমরা বেড়াতে যেতে ভালবাসি। অনেক ছোট ট্রিপ করেছি। ট্রাভল পার্টনার হিসেবে আমাদের খুব ভাল জমে। আমাদের চাহিদাটাও মিলে যায়। পরিবারের সঙ্গেও ঘুরতে গিয়েছি। একবছরের মধ্যে আমরা আমেরিকাও ঘুরেছি আবার পশ্চিমবঙ্গের অনেক জাগয়াও ঘুরেছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এভাবে ঘুরতে পারব।