৪০ লক্ষ টাকার আর্থিক লেনদেন। নেই কোনও চুক্তিপত্র! বিপুল অঙ্কের এই 'পারিশ্রমিক' দিয়ে বনি সেনগুপ্ত কেনেন বহুমূল্য গাড়ি। আর সেই বিষয়ের হদিশ মিলতেই সিজিও কমপ্লেক্সে 'চক্কর' কাটতে হচ্ছে টলিপাড়ার অভিনেতাকে। যা নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি থেকে সিনেইন্ডাস্ট্রি তোলপাড়। চর্চার অন্ত নেই। এবার ছেলে বনির হয়ে 'ড্যামেজ কন্ট্রোল' করতে ময়দানে মা পিয়া সেনগুপ্ত।
শিক্ষা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে বনি সেনগুপ্তর লেনদেনে টাকার অঙ্কটা বেশ ভারী। ৪০ লক্ষ টাকা। অভিনেতার দাবি, শাসকদলের যুবনেতা সিনেমায় টাকা ঢালতে চেয়েছিলেন। সিনেমার জন্যই এই বিপুল পরিমাণ অঙ্ক পারিশ্রমিক হিসেবে নেন তিনি। তবে পরে ছবি না হওয়ায় মাচা শো করে সেই টাকা মিটিয়েছিলেন। যে টাকায় বনি সেনগুপ্ত বহুমূল্য গাড়ি কেনেন। ইডি আধিকারিকদের জেরার মুখে এমনটাই দাবি করেছেন অভিনেতা নিজে। তবে এই আর্থিক লেনদেনের কোনও চুক্তিপত্র নেই। যার জেরেই বিপত্তি! ইডির কড়া জেরার মুখে পড়তে হয়েছে বনি সেনগুপ্তকে। এবার সেই প্রেক্ষিতেই মুখ খুলতে বাধ্য হলেন অভিনেতা মা পিয়া সেনগুপ্ত।
বনির মা পিয়ার মন্তব্য, "কুন্তল ঘোষের আয়ের উৎস সম্পর্কে ধারণা থাকলে আমরা ওঁর টাকা ছুঁতামও না। তবে বনির সঙ্গে কুন্তলের আর্থিক লেনদেনের কাগজে-কলমে চুক্তিপত্র না করাটা ভুল।" প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের জেরায় ইডির কাছে গত ১০ বছরের আয়ের নথিপত্র জমা দেন বনি। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়েই অভিনেতা সদর্পে বলেন, "তদন্তকারীদের হাতে সব নথিপত্র তুলে দিয়েছি। আশা করি আমাকে আর তলব করা হবে না।"
<আরও পড়ুন: ‘মা-ছেলে দুটোই ঠগবাজ’, ভয়ঙ্কর অভিযোগ! বনির মা পিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে টলিউডের একাংশ>
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে বনি সেনগুপ্তর বেশ কয়েকবার বিদেশযাত্রার তথ্য মিলেছে। সেই বিদেশসফরের বিপুল পরিমাণ খরচের উৎস কী? সেটা খতিয়ে দেখছে ইডি। যদিও অভিনেতার দাবি, নিজের খরচেই তিনি বিদেশ ট্যুরে গিয়েছিলেন। তবে যে ৪০ লক্ষ টাকা নিয়ে এত শোরগোল, সেই অঙ্ক কি ফেরত দেবেন বনি সেনগুপ্ত? এপ্রসঙ্গে অভিনেতার মন্তব্য, "সেটা তদন্তকারীরাই বলতে পারবেন।"
প্রসঙ্গত, দিন দুয়েক আগেই বনির মা পিয়া সেনগুপ্ত, যিনি অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি ইম্পার সভাপতিও, তাঁর বিরুদ্ধে ইম্পার ভোটে কারচুপির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগকারীদের দাবি, পিয়া সেনগুপ্তকে ইম্পার সভাপতি নির্বাচনে জেতাতেই কুন্তল ঘোষ কারি কারি টাকা ঢেলেছিলেন। যদিও সেসব কথা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ইম্পার সদস্যদের তরফে। এমনকী, 'গুজব' বলে হেসে উড়িয়ে দেন পিয়া নিজেও। তবে টলিপাড়ার সেনগুপ্ত পরিবার নিয়ে নেটপাড়ায় এখন দেদার চর্চা।