Pori Moni Accused: গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগে বাংলাদেশের চর্চিত নায়িকা পরীমণিকে নিয়ে ফের আলোচনা। মাত্র ১ মাস হয়েছিল সেই মেয়েটি অভিনেত্রীর বাড়িতে কাজ করতে আসে। এবং তারপরই এই ঘটনা। এমনকি, নানা প্রশ্নবানে জর্জরিত অভিনেত্রী। পরীমণি লাইভ এসেই এই ঘটনা প্রসঙ্গে নানা কথা বলেন। তিনি আদৌ কোনও দোষ করেছেন কিনা, নাকি তাঁর সঙ্গে কোনও অন্যায় করা হয়েছে, এই নিয়েই প্রশ্ন তোলেন।
সারা দেশ জুড়ে তাঁকে নিয়ে বিতর্ক কম নেই। কখনও ব্যক্তিগত সম্পর্ক আবার কখনো নানা ঝুট ঝামেলায় তিনি বিধ্বস্ত। আর এই সময় পরী যখন পুলিশি তদন্ত এবং অভিযোগের পাহাড়ে চাপা পড়েছেন, তখন তাঁকে মনের জোর এবং সঙ্গ না দিয়ে থাকতে পারেন? তাই তো পরীমণির পাশে দাঁড়িয়েছেন তসলিমা নাসরিন। লেখিকা তসলিমা ভীষণ ঠোঁটকাটা। দীর্ঘদিন বাংলাদেশে না থেকেও সেই দেশ প্রসঙ্গে তিনি নানা খবর রাখেন। তাই তো, পরীর প্রসঙ্গে জানতে পেরেই একটি পোস্ট করলেন। স্পষ্টবাদী সাহিত্যিক সাফ জানিয়ে দিলেন, যে সুখের সময় না থাকলেও পরীমণির দুঃখের সময়ে তিনি থাকবেন।
আরও পড়ুন - Swastika Mukherjee: বাবার নখের যোগ্য নই, যাত্রা করে ওঁর সম্মান ডোবাতে পারব না: স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়
লিখলেন, "পরীমণির সুসময়ে আমি পাশে থাকি না। ওঁর দুঃসময়ে আমি ছুটে আসি । আবার ওঁর আঙিনায় দুঃসময় এসে দাঁড়িয়েছে। এক মহিলা গৃহপরিচারিকার চাকরি নিয়ে ওঁর বাড়িতে ঢুকেছিল। কিছুদিন পর সে বেরিয়ে এসে পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছে, আর মিডিয়াও বেশ ফলাও করে মহিলার সাক্ষাৎকার ছাপাচ্ছে, যেন মহিলা যা বলছে সবই সত্যি। নারী, বিশেষ করে সে নারী যদি ব্যতিক্রমী, সাহসী, প্রতিভাময়ী হয়, তাহলে তার সর্বনাশ না করে ছাড়বে না মিডিয়া। গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসানো, রক্ষণশীলতা আঁকড়ে রাখা, ক্ষমতার চাটুকারিতা বাংলাদেশের মিডিয়ার বিশেষ দোষ। মিডিয়া তো রক্ষণশীল পুরুষতান্ত্রিক লোকদেরই তৈরি। এ আর নারীবিদ্বেষী সমাজ থেকে আলাদা কী হবে! পরীমণিকে আক্রমণ করার জন্য, তাঁর চরিত্রে কালি লেপনের জন্য মহিলাটিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ব্যবহৃত হয়ে যাওয়ার পর মহিলাকে কিন্তু মিডিয়াও ছুঁড়ে ফেলে দেবে আস্তাকুঁড়ে।"
অভিনেত্রীর কাছে সমস্ত প্রমাণ আছে। কিন্তু, তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন, এমনটাই জানিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, অভিনেত্রী ভেবেই পাননি কেন তাঁর এহেন সমস্যা হল? পুলিশের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত যে প্রাইভেসি লঙ্ঘন হল, সেই নিয়েও বেশ চিন্তিত। পরিবারে সন্তানদের নিয়ে একা থাকেন তিনি। সেখানে সবাই তাঁকে অভিযুক্ত হিসেবে খাঁড়া করলেন। এদিকে, তসলিমা সাফ জানালেন সেই পরিচারিকা চড় খাওয়ার যে ঘটনা বর্ণনা করেছেন, সেটি সাংঘাতিক। কোনমতেই এহেন মন্তব্যকে বিশ্বাস করা যায় না। তিনি আরও লিখছেন...
"গৃহপরিচারিকার চাকরি করতে আসা মহিলাটি যে মিথ্যে কথা বলছে তা সহজেই অনুমেয়। তার বর্ণিত চড় খেয়ে মুর্চ্ছা যাওয়ার ঘটনাটি যথেষ্ট সন্দেহ সৃষ্টি করে। পরীমণির বিরুদ্ধে সে যে নোংরা ভাষায় কথা বলেছে, তাতে মনে হয় সে বদ একটি উদ্দেশ্য নিয়ে পরীমণিকে বিপদে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে, এবং এই ষড়যন্ত্রে তাকে অনেকেই সাহায্য করছে। পরীমণির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তার জঘন্য মন্তব্য সব রকম সীমা অতিক্রম করেছে। পরীমণি কার সঙ্গে কথা বলবে, খাবে, ঘুরবে, বেড়াবে, শোবে, তা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। সম্মানীয় শিল্পীর বিরুদ্ধে অসম্মানজনক বাক্যাবলি উচ্চারণ করার জন্য মহিলাকে উৎসাহ দেওয়া বা উসকে দেওয়া এবং সেসব অবাধে প্রচার করা মিডিয়ার উচিত হয়নি। আদালতের উচিত নয় নারীবিদ্বেষী ষড়যন্ত্রের মামলাকে গ্রহণ করা বা আদপেই মূল্য দেওয়া। এই সত্যটা সবারই জানা উচিত, গরিব হলেই মানুষ সৎ হয় না। গরিবরাও অসৎ, ধুরন্দর, বদমাশ, মিথ্যুক, নিষ্ঠুর, চোর, ডাকাত, ধর্ষক, খুনী হতে পারে।"