পদ্মা, নাসির আলি, গণেশ মন্ডলের কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। ঠিকই ধরেছেন বিসর্জনের কথাই বলছি। ওপারের পদ্মা আর এপারের নাসিরকে পছন্দ করেছিলেন দর্শকরাও। কিছু কিছু গল্প হঠাৎ শেষ হয়ে যায় না। আর বিসর্জনের পরে বিজয়া তো আসতেই হবে। গতবছর জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল বিসর্জন, সেই সঙ্গে দর্শককে ভাবিয়েছিল এই ছবি। সেই ভাবনাগুলোর উত্তরই হয়তো রয়েছে বিজয়াতে। এবার প্রকাশিত হল বিজয়ার পোস্টার। পোস্টার লঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, জয়া আহসান ও আবির চট্টোপাধ্যায়।
শাড়ি, সিঁদুরে পদ্মা অর্থাৎ জয়া আসহান। আর তারসঙ্গে একটি পোস্টারে গণেশ মন্ডল অন্যটাতে আবির। পোস্টার লঞ্চে এসে জয়া বললেন, এই ছবিতে চরিত্রগুলোর আলাদা প্রেক্ষাপট রয়েছে। এতদিন পরে নিশ্চয়ই আবার সমস্যা তৈরি হয়েছে। সেগুলোর সমাধান থাকতে পারেন। তবে গণেশ মন্ডলের চরিত্রটা বদলেছে। সমস্তটা ধোঁয়াশা রেখেই তিনি বললেন, ''কৌশিক দা যদি কিছু না বলে থাকে আমার বলাটা উচিৎ নয়। আসলে গণেশ মন্ডল এত ভালবাসার একটা চরিত্র আমার মনে হয় দর্শক সেটা পর্দাতেই দেখুক''।
ওপারের পদ্মা আর এপারের নাসিরকে পছন্দ করেছিলেন দর্শকরাও।
আরও পড়ুন, বাংলা ছবিতে জুটি বাঁধছেন রোহিত রায় ও টোটা রায় চৌধুরি
আবির চট্টোপাধ্যায়ের বললেন, ''নিয়ম তো এটাই বিসর্জনের পর বিজয়া। কিন্তু বিসর্জনে সবটা নিয়ম মেনে হয়নি। নাসির, পদ্মা ও গণেশের পরে কী হল সেটাই বলবে বিজয়া। এই তিনজন হঠাৎ করে একজায়গায় এলে কি হবে সেটাই গল্প''। তবে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বললেন ছবির গান প্রসঙ্গে, ''এবারও কালিকা আছে। কলকাতা শহরে গল্প বলছি। তাই এখানকার রাস্তার গান থাকবে। গণেশ মন্ডল কেমন ভাল না খারাপ! সেটা দেখুন। এদের মতো লোক খুব একটা বদলায় না''।
ছবির শুটিং হয়েছে টাকির বিভিন্ন জায়গায়। বিজয়ার সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে দেখা যাবে ইন্দ্রদীপ দাশুগুপ্তকে। স্বর্গত কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্যের কিছু অপ্রকাশিত গানও ব্যবহার হতে পারে এই ছবিতে। আগামী বছর জানুয়ারীর শুরুতে মুক্তি পাবে বিজয়া।