Ritwick-Sohini In Pratim D Gupta Movie: ২০ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে পরিচালক প্রতীম.ডি.গুপ্তার লেটেস্ট মুভি 'চালচিত্র'। টানটান উত্তেজনায় ভরপুর থ্রিলার মন জিতেছে বাঙালি দর্শকের। এর মাঝেই টলিপাড়ার কানাঘুষো নতুন ছবির প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন পরিচালক। শোনা যাচ্ছিল, ঋত্বিক চক্রবর্তী ও সোহিনী সরকারকে নিয়ে গল্প বুনছেন প্রতীম। নতুন বছরে আরও একবার ঋত্বিক-সোহিনীর পুরনো জুটির নতুন স্বাদ পেতে চলেছে বাংলা ছবির দর্শক। ঋত্বিকের সঙ্গে তো আগেও কাজ করেছেন পরিচালক প্রতীম। কিন্তু, সোহিনীর সঙ্গে প্রথমবার। নতুন ছবির পরিকল্পনা নিয়ে সাম্প্রতিক অতীতে খোঁজ নিয়েছিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইন।
প্রতীমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছিলেন, 'এখনও কিছু কনফার্ম হয়নি। অন্য কিছু হতে পারে। ঋত্বিক এখন খুব ব্যস্ত রয়েছে। সৃজিতের ছবি রয়েছে। অচিন্ত আইচ আছে। সোনি লিভের শো আছে। ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশনের সঙ্গেই অন্য কিছু একটা কাজের ভাবনা রয়েছে। পরে ঋত্বিকের থেকে ডেট পেলে সেই ছবিটা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে আছে।' অবশেষে ইচ্ছেপূরণ প্রতীমের।
পরিচালক জানিয়েছেন, 'ঋত্বিক-সোহিনীকে নিয়ে আবার কাজ করছি। সব কিছু ফাইনাল। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে শ্যুটিং শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। সিনেমার নাম রান্নাবাটি। বাবা-মেয়ের সম্পর্কের একটা গল্প বলবে এই ছবি। রন্ধনশিল্পীর ভূমিকায় দেখা যাবে সোহিনীকে। ঋত্বিকের চরিত্রের নাম সুমিত দাশগুপ্ত আর সোহিনীর নাম রীতা রে। ঋত্বিকের স্ত্রী মারা যাওয়ার পর মেয়ের সঙ্গে বাবার বোঝাপরার যে বিষয়টাকে কেন্দ্র করেই এই ছবিটি তৈরি হয়েছে।'
ছবি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রতীম যোগ করেন, 'মাছের ঝোলে যেমন ঋত্বিক রান্না করতে ভালবাসতেন এখানে কুটোটি নাড়তে পারেন না। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর মেয়ের মানসিক দিকটা একেবারেই বুঝে উঠতে পারে না সুমিত। সেখান থেকেই বাবা-মেয়ের মধ্যে একটা দূরত্ব তৈরি হবে। আর ঠিক সেই জায়গাটাতেই রীতা রে-একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। একদিন হঠাৎ সুমিতের চোখে পরে রীতা রে-এর কুকিং ক্লাসের বিজ্ঞাপন। ক্লাস করতে গিয়ে সম্পর্কে জড়িয়ে পরবে দুজনে। এরপরই কাহানি মে ট্যুইস্ট।'
পরিচালকের সংযোজন, 'ঋত্বিকের মেয়ের চরিত্রে কে থাকবেন সেটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।' 'মাছের ঝোল', 'সাহেব বিবি গোলাম', 'আহারে মন', এবং 'শান্তিলাল ও প্রজাপতি রহস্য'-এই ছবিগুলোতে ঋত্বিককে নিয়ে কাজ করেছেন পরিচালক প্রতীম ডি গুপ্তা। তাঁর ভাবনায় বারবার নতুনত্বের ছোঁয়া থাকে। আরও একবার তাঁর এই স্ট্র্যাটিজিকে সঠিক প্রমাণ করল 'চালচিত্র'।
বড় পর্দায় ঋত্বিক-সোহিনী জুটি বারবার মন ছুঁয়েছে বাংলা ছবির দর্শকের। 'ফড়িং' থেকে 'হ্যাপি পিল', 'অনন্ত', মৈনাক ভৌমিকের 'বিবাহ ডায়েরিজ'-র মতো সিনেমাগুলোতে প্রশংসা কুড়িয়েছে এই জুটি। ঋত্বিক-সোহিনী জুটির কামব্যাক বাঙালি দর্শকের কাছে নিঃসন্দেহে বিরাট সুখবর। সোহিনীর সঙ্গে ঋত্বিকের জুটি যেমন হিট, তেমনই আবার প্রতীম-ঋত্বিকের যুগলবন্দিও দর্শকের বেশ পছন্দ।