সিদ্ধার্থ শুক্লা আর নেই! এই বিষয়টা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না কাছের মানুষ থেকে প্রিয়জন এবং অনুরাগীরা। হঠাৎ করে সুস্থ একজন মানুষের মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া বলিউডে এবং টেলিপাড়ায়। এবার সিদ্ধার্থের মৃত্যুর খবর পেয়ে গভীরভাবে শোকাহত তাঁর প্রথম নায়িকা 'বালিকা বধূ'র প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানালেন, প্রত্যুষার মৃত্যুর পরেও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন সিদ্ধার্থ। এমনকী, গত লকডাউনের সময়ও তাঁদের পরিবারের হাতে জোর করে টাকা তুলে দিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ। এতটাই মানবিক ছিলেন তিনি। জানালেন প্রত্যুষার বাবা খোদ।
২০১৬ সালে 'বালিকা বধূ' খ্যাত অভিনেত্রী প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায় আত্মহত্যা করেন। কাছের বন্ধুকে হারিয়ে সিদ্ধার্থও সেদিন ভীষণ ভেঙে পড়েছিলেন। প্রত্যুশার বাবা জানান, "মেয়ের মৃত্যুর পর থেকে সিদ্ধার্থ মাঝে মধ্যেই মেসেজ করে খোঁজ নিত। মাঝে মাঝে জিজ্ঞেসও করত কীভাবে সাহায্য করা যায়। গতবছর লকডাউনে একরকম জোর করে কুড়ি হাজার টাকা পাঠিয়েছিল সিদ্ধার্থ।"
আরও পড়ুন ‘সেলেবদের মৃত্যু সার্কাস হয়ে উঠেছে’, নেটদুনিয়ায় গর্জে উঠলেন অনুষ্কা শর্মা
ছেলের মতোই ভালবাসতেন তাঁকে। তাই সিদ্ধার্থের এই অকালপ্রয়াণে ভীষণভাবে দুঃখ পেয়েছেন শঙ্করবাবু। বালিকা বধূর সময় থেকেই দুজনের বন্ধুত্ব গাঢ় হয়েছিল। মাঝে মাঝে বাড়িতেও আসতেন সিদ্ধার্থ। কিন্তু প্রত্যুষার মৃত্যুর পরেই লোকজন তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে আজগুবি কথা বলতে থাকেন, তারপর থেকেই সিদ্ধার্থ তাঁর বাড়িতে আসা বন্ধ করে দেন। তবে ফোন মারফত খোঁজ নিতেন সবসময় বলেই জানান তিনি। বিগত কয়েকমাস আগেও তাঁরা সুস্থ আছেন কি না, ভাল আছেন কি না, কোনওরকম সাহায্য লাগবে কি না এই প্রসঙ্গেই সিদ্ধার্থের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। নিজের মেয়েকে হারিয়েছেন অনেকদিন। কিন্তু হঠাৎ নিজের সন্তানসম সিদ্ধার্থকে হারিয়েও গভীর শোকে তিনি।
সিদ্ধার্থের বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাব এবং সবাইকে আপন করে নেওয়ার প্রকৃতিই সকলের থেকে আদায় করে নিয়েছিল অগাধ ভালবাসা। সহকর্মীদের উদ্দেশে সবসময়ই বাড়িয়েছিলেন বন্ধুত্বের হাত। অনেকেই পৌঁছেছিলেন তাঁর শেষকৃত্যে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন