"অরিজিৎ দত্তর সবটাই লোক দেখানো..", সোমবারই প্রিয়া সিনেমা হলের মালিকের উদ্দেশে বলেছিলেন 'প্রজাপতি'র প্রযোজক অতনু রায়চৌধুরি। প্রসঙ্গ, পাঠান সিনেমার জন্য বাংলা সিনেমা কোণঠাসা। শাহরুখ খানের ছবির জন্য বাংলায় রমরমিয়ে ব্যবসা করা 'প্রজাপতি'কে উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ, 'প্রিয়া সিনেমা হল থেকেই শুরু এই স্ট্র্যাটেজি!' এবার সেই বিষয়ে পাল্টা জবাব দিতে গিয়েই খোঁচা দিলেন প্রিয়া সিনেমা হলের মালিক অরিজিৎ দত্ত।
প্রসঙ্গত, বড়দিনে মুক্তিপ্রাপ্ত 'প্রজাপতি' বক্সঅফিসে এখনও ছক্কা হাঁকিয়ে চলছে, তবে 'পাঠান' রিলিজের জন্য প্রায় ২০টি সিনেমাহল থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে এই সিনেমা। কারণ, হল মালিকদের ওপর কড়া নির্দেশ রয়েছে- সিঙ্গলস্ক্রিনে 'পাঠান' চললে, সব কটা শো এই সিনেমাকেই দিতে হবে। তার সঙ্গে অন্য কোনও আঞ্চলিক ভাষায় সিনেমা দেখাতে পারবেন না তাঁরা। নইলে 'পাঠান' দেবেন-ই না সেই প্রেক্ষাগৃহকে। যার জেরে লোকসানের ভয়ে না চাইলেও সিঙ্গলস্ক্রিন হলমালিকদের বাংলা সিনেমা সরিয়ে 'পাঠান'কেই সব শো দিতে হচ্ছে। প্রিয়া হল আগেভাগেই তাই বুধবার থেকে 'পাঠান'-এর জন্য ৫টি শো রেখে দিয়েছে। যে খবর জানার পর প্রিয়া থেকে আগেই 'প্রজাপতি' উঠিয়ে নিয়েছে ডিস্ট্রিবিউটার। কারণ দিন দুয়েকের বাড়তি সুবিধে তাঁরা হলকে দিতে নারাজ।
<আরও পড়ুন: ‘আমি বাজে অভিনেতা, তৃণমূলের জন্যই প্রজাপতি হিট..’, মারাত্মক ফর্মুলা ‘মিঠুনদা’র>
যে প্রসঙ্গে গতকাল সংবাদমাধ্যমের কাছে অসন্তোষ প্রকাশ করেন 'প্রজাপতি'র প্রযোজক অতনু। এই ছবির ডিস্ট্রিবিউটার শতদীপও জানান যে, 'অন্যান্য হল মালিকদের কাছে নির্দেশ এসেছে, প্রিয়া পারলে আপনারা পারবেন না কেন পুরো শো দিতে?' সবমিলিয়ে হিন্দি সিনেমার জন্য বাংলাতেই বাংলা সিনেমা ব্রাত্য! সেপ্রসঙ্গেই প্রিয়ার মালিক অরিজিৎ দত্তর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন অতনু। এবার পাল্টা ফোঁস করে উঠলেন প্রিয়ার মালিক!
সংবাদমাধ্যমের কাছে এপ্রসঙ্গে অরিজিৎ বলেন, "বাংলা সিনেমার পরিচালক-প্রযোজকরা তো জানত যে পাঠান আসছে। তাহলে একই সময়ে রিলিজ কেন? এটা অযৌক্তিক! তাছাড়া গত কয়েক মাস আমি বাংলা সিনেমাই চালিয়েছি। সকলকে তাঁদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে আগাম বলেও দিয়েছিলাম। দিনের শেষে এটাও ব্যবসা। কোভিডের পর থেকে সিঙ্গলস্ক্রিনগুলো ধুঁকছে। টিকে থাকতে বড় ছবি দেখানো ছাড়া উপায় নেই। তখন 'প্রজাপতি'র ১টা শো নিয়ে ভাবব নাকি 'পাঠান'-এর ৫টা শো?"
এখানেই অবশ্য থামেননি অরিজিৎ। তিনি বলেন, "অগ্নিকাণ্ডের পর ৮ মাস প্রিয়া বন্ধ ছিল। তখন ইন্ডাস্ট্রির কয়েকজন ছাড়া আমার কথা কেউ ভাবেনি। তাই বাংলা সিনেমা ৮ মাস যদি প্রিয়া সিনেমাহল ছাড়া থাকতে পারে, আগামী ২ মাসও পারবে।"