বলিউডের মন্দার বাজারে বাজার কাঁপাচ্ছে 'ব্রহ্মাস্ত্র'। মাত্র ৩ দিনেই ১০০ কোটি পার। কেউ যাচ্ছেন শাহরুখকে দেখতে তো কেউ বা রণবীর-আলিয়াকে। দক্ষিণী সিনে ইন্ডাস্ট্রির হিট-সুপারহিটের দিকে যে 'ব্রহ্মাস্ত্র' ছুঁড়ে দিয়েছেন অয়ন মুখোপাধ্যায়, করণ জোহররা, তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু বলিউড বনাম দক্ষিণী যুদ্ধে কেন বাংলার প্রযোজক-হল মালিকেরা কোন্দল করছেন?
টুইটারে চোখ রাখতেই মিলল উত্তর। 'ব্রহ্মাস্ত্র'র (Brahmastra) ডিস্ট্রিবিউশনের দায়িত্ব আসলে বাংলার ডাকসাইটে প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ-এর কাঁধে। অন্যদিকে কয়েক সপ্তাহ ধরে রমরমিয়ে চলছে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত 'লক্ষ্মী ছেলে' (Lokkhi Chele)। এইমূহূর্তে কলকাতার প্রিয়া এবং নবীনা সিনেমাহলেই চলছে এই সিনেমা। তার মাঝেই এসভিএফ প্রযোজনা সংস্থার ওপর গুরুতর অভিযোগ এনেছেন প্রিয়া সিনেমাহলের মালিক অরিজিৎ দত্ত। তাঁর অভিযোগ, বাংলা সিনেমার প্রদর্শন বন্ধ করে এসভিএফের তরফে হিন্দি সিনেমা চালানোর জন্য চাপ দিচ্ছে এসভিএফ। এরপরই পাল্টা দিতে ময়দানে নামেন এসভিএফ (SVF) কর্তা মহেন্দ্র সোনি।
প্রিয়া সিনেমা হলের মালিক অরিজিৎ দত্ত ওরফে দাদুল টুইটে অভিযোগ করে বলেন, "অত্যন্ত দুঃখজনক একটা দিন। যখন দেখছি একটা বাংলা প্রযোজনা সংস্থা প্রেক্ষাগহ থেকে বাংলা সিনেমা সরিয়ে হিন্দি সিনেমা চালানোর জন্য চাপ দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, আগামী সপ্তাহেও বাংলা ছবির রিলিজ বাতিল করার কথা বলছে।" যদিও এই টুইটে এসভিএফ কিংবা 'ব্রহ্মাস্ত্র' কোনওটার-ই নামোল্লেখ করেননি, তবুও বুঝতে বাকি নেই কাদের কথা বলা হচ্ছে এখানে।
<আরও পড়ুন: ‘মুসলিম জোটে না! হিন্দু বিয়ে করেন কেন?’ কটাক্ষের ভয়ঙ্কর পাল্টা দিলেন নুসরত>
অরিজিৎ দত্তর টুইট নজর এড়ায়নি এসভিএফ অন্যতম কর্তা মহেন্দ্র সোনির। পাল্টা টুইটে তাঁর জবাব, "একদম অরিজিৎ দত্ত স্টাইলে টুইট! তোমাকে কেউ জোর করেনি। উল্টোদিক থেকে বলতে গেলে, তুমি তো তো গরির প্রযোজকদের টাকা নিংড়ে নিয়ে ওই ছবিতে নিজের কাস্টিং নিশ্চিত করো। আর সেক্ষেত্রে বাংলা সিনেমার-ই জয় হয়। এই সার্ভিস দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদুলদা…।"
ব্যস অমনি প্রযোজক, হল মালিকের ঝগড়ায় নেটদুনিয়ায় চুড়ান্ত শোরগোল। উল্লেখ্য, এই অবশ্য প্রথম নয়, এর আগে শ্রীমতী নিয়ে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় কিংবা ভটভটির জন্য পরিচালক তথাগত মুখোপাধ্যায়ও এই একই অভিযোগ তুলেছিলেন এসভিএফের বিরুদ্ধে। তবে ইন্ডাস্ট্রিতে কান পাতলেই অরিজিৎ দত্তকে কাস্ট করার নেপথ্যেও এমন গাল-গল্প শোনা যায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন