এতদিন সিএবি বা এনআরসি প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। বিল পাশ হয়ে সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট হওয়া পর্যন্তও চুপ ছিলেন। এমনকী জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ছাত্ররা প্রতিবাদ করতে শুরু করেন, তাদের উপর পুলিশি আক্রমণের অভিযোগ ওঠে, তখনও কিছু বলেননি প্রিয়াঙ্কা। শেষমেশ সরব হলেন ১৯ ডিসেম্বর ভোরে বা ১৮ ডিসেম্বর মধ্যরাতে। টুইটারে জানালেন, ছাত্রদের উপর হিংসাত্মক আক্রমণ কখনোই কাম্য নয়।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে থাকেন। বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে, নারীর অধিকার, মিটু ইত্যাদি বিষয়ে তাঁর মতামত স্পষ্ট করে জানালেনও কোনও রাজনৈতিক ইস্যুতে কখনও মুখ খোলেননি অভিনেত্রী। কিন্তু সিএএ, ছাত্রদের প্রতিবাদ নিয়ে তিনি তাঁর মতামত জানালেন একটি টুইটের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: জামিয়ার ঘটনায় ‘স্পিকটি নট’, সমালোচনার মুখে আমির, রণবীর, শাহরুখরা
ওই টুইটার বার্তায় লেখা, ''প্রত্যেক শিশুর জন্য শিক্ষা আমাদের স্বপ্ন। শিক্ষাই মানুষকে স্বাধীনভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা দেয়। শিশুদের আমরা বড় করে তুলি যাতে তারা তাদের বক্তব্য স্পষ্টভাবে বলতে পারে। যে দেশে গণতন্ত্র এখনও বহাল, সেখানে একজন নাগরিক শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করবেন এবং তার উপর হিংসাত্মক আক্রমণ হবে-- এটা অন্যায়। প্রত্যেকটি কণ্ঠস্বর গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রত্যেকটি কণ্ঠস্বরই এদেশে বদলের রাস্তাকে সুগম করবে।''
সিএবি বিল পাশ এবং সিএএ লাগু নিয়ে বিনোদন জগতের বহু ব্যক্তিত্বই ইতিমধ্যেই তাঁদের মতামত সোশাল মিডিয়া জানিয়েছেন। দেশজুড়ে ছাত্রদের প্রতিবাদকে অনেকে সমর্থন করেছেন এবং ছাত্রদের উপর হিংসাত্মক আক্রমণের নিন্দা করেছেন। এই গোটা পরিস্থিতি নিয়েই পথে নামার ডাক দিয়েছেন ফারহান আখতার। দক্ষিণে কমল হাসান স্পষ্টভাষায় জানিয়েছেন যে নাগরিকত্ব আইনের এই সংশোধনীর প্রকাশ্য বিরোধিতা করছেন তিনি। অনেকে আবার কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন। যেমন, কঙ্গনা রানাওয়াত।
তাই প্রিয়াঙ্কার এই টুইট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত প্রিয়াঙ্কা একজন আন্তর্জাতিক তারকা শুধু নন, তিনি হলেন ইউনাইটেড নেশনস (জাতিসঙ্ঘ)-এর দূত। দ্বিতীয়ত, তিনি যেহেতু রাজনৈতিক ইস্যুগুলি থেকে সচরাচর নিজেকে দূরে রাখেন, তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁর এই বার্তা নিঃসন্দেহে দেশের মানুষের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।