তিনিও তো মা। তাই শিশুদের দুরাবস্থা দেখা ভয়ে বুক কাঁপছে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার (Priyanka Chopra)। খরা কবলিত কেনিয়ার এ কী হাল! খিদের জ্বালায় কাঁদছে কচিকাঁচারা। বাড়ি তো দূরঅস্ত, এলাকাতেও একফোঁটা জল নেই। খাবার নেই। খাদ্যাভাব, জলের সঙ্কটে কোলের শিশুরা ঢলে পড়ছে মৃত্যুর মুখে। সেখানকার স্থানীয়দের কথায়, বৃষ্টি না নামলে এমতাবস্থায় বেঁচে থাকা অসম্ভব! আর কেনিয়ার এহেন চরম পরিস্থিতি দেখেই মার্কিন মুলুক থেকে সেখানে ছুটে গেলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
Advertisment
খরা কবলিত কেনিয়ার ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখে আর স্থির থাকতে পারেননি। চোখে জল চলে এল দেশি গার্লের। বারবার তাঁর চোখে ভেসে উঠছে শিশুদের হাহাকার। খিদের জ্বালা। তেষ্টার জ্বালা। এহেন ভয়ানক দৃশ্য দেখে মন ঠিক রাখতে পারলেন না প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। কেঁপে উঠল সদ্য মা হওয়া অভিনেত্রীর বুকও। অতঃপর কেনিয়ার সেই বিভৎসতা নিজে ক্যামেরাবন্দি করলেন।
ইউনেসকোর শুভেচ্ছাদূত প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। আর সেই কারণেই হাজারো ব্যস্ততার মাঝে কোলের বাচ্চাকে বাড়িতে রেখে ছুটে গিয়েছেন খরাগ্রস্ত কেনিয়াতে। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করে কথা বললেন। তাঁদের শিশুদের তুলে নিলেন কোলে। বুকে একরাশ কষ্ট নিয়ে কেনিয়া থেকেই প্রিয়াঙ্কা বললেন, খুব অস্থির লাগছে। কেনিয়াতে আসার পর থেকেই আমার মাথা ঠিকঠাক কাজ করছে না। চারদিকে হাহাকার। দেখে সত্যিই সহ্য করতে পারছি না। কিন্তু তবুও এই সফর জারি রাখতেই হবে।
সেই সফরের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, "শিশুরা খিদেয় মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে। কেনিয়ার জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য হচ্ছে। তবে সমস্যা সমাধানের আশা এখনও আছে। ইউনিসেফ পাশে আছে। আপনারাও আর্থিক অনুদান দিয়ে সাহায্য করুন।"
প্রসঙ্গত, মাস খানকে আগেই সারোগেসির মাধ্যমে এক ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। অতঃপর মা হয়ে যে আরেক মায়ের কোলের শিশুর কষ্ট বুঝবেন, তা বলাই বাহুল্য। তাই সকলকে পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানান অভিনেত্রী।