বন্ধুত্ব, প্রেম, বিয়ে। সবটাই ভীষণ তাড়াতাড়ি হয়েছিল। এমনকি বিচ্ছেদেও খুব একটা সময় নেননি তাঁরা। জানা গিয়েছিল তাঁদের ছাড়াছাড়িও হবে আপোস করেই, কিন্তু শেষমেষ আইনি পথেই পা বাড়ালেন রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রিয়াঙ্কা সরকার। গত ১৬ জুলাই রাহুলের বিরুদ্ধে নির্যাতনের মামলা করে খোরপোশ দাবি করেন প্রিয়াঙ্কা। ছেলে সহজের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেছে রাহুল। প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ এটাও। রাহুল জানিয়েছেন, তিনিও পা বাড়াবেন আইনের পথেই।
দু-বছরের বেশি সময় হল আলাদা হয়েছেন এই তারকা জুটি। তবে কাদা ছোড়াছুঁড়ির পথে কখনোই যায়নি তাঁদের সম্পর্ক। সম্পর্কের অবনতির পর ২০১৬ থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেন দুজনে। ঠিক হয়েছিল, ছেলে সহজের দায়িত্ব নেবেন তাঁরা দুজনেই। কিন্তু প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই সেই দায়িত্ব পালন করছেন না রাহুল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা জানালেন, ''কোনওদিনই আমি চাইনি এই সম্পর্কের ভেঙে যাওয়ার কথা বাইরে আসুক আর তা নিয়ে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি হোক। সহজের কথা ভেবেই সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলাম, আজও মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ওর কথা ভেবেই। সম্পর্কটা থেকে আমার অনেক আকাঙ্ক্ষা ছিল, যা পূর্ণ হয়নি। রাহুলের সম্পর্কে একটাও খারাপ কথা বলিনি, এখন মনে হয় সেটাই ভুল হয়েছে। ওকে অনেকটা জায়গা দিয়ে ফেলেছি''। তিনি এদিন আরও বলেন, ''আমার সঙ্গে শঠতার সময়ে আম চুপ করে থেকেছি, কিন্তু সন্তানের সঙ্গেও যখন শঠতা করা হচ্ছে, তখন আমার মুখ খোলা জরুরি বলে মনে হয়েছে''।
আরও পড়ুন, আট বছর পর আবার একসঙ্গে অনুরাগ বসু, কঙ্গনা রানাওয়াত
রাহুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ''মামলা যখন বিচারাধীন সেটা নিয়ে আমার বেশ কিছু বলা উচিত নয়। এতদিন পর কথাগুলো কেন উঠছে তা নিয়েও আমি স্তম্ভিত। তবে আমার বিশ্বাস আমি ঠিক পথেই চলছি''।
গোটা তিক্ততার পিছনে কি টাকার অঙ্ক? টলি মহলে গুঞ্জন এমনটাই। প্রিয়াঙ্কা বলছেন, আইনি কারণে এ নিয়ে তিনি মুখ খুলতে পারবেন না, তবে যা চাওয়া হয়েছে, তার সবটাই সহজের জন্য।
মামলা দায়ের হওয়ার পর প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে রাহুলের আলাদা করে আর কোনও যোগাযোগ হয়নি। তবে তিনি আইনি পথেই এগোবেন বলে জানিয়েছেন রাহুল। প্রসঙ্গত, রাহুলের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মামলা করছেন প্রিয়াঙ্কা সরকার।