সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু এবং বলিউডে মাদক যোগ নিয়ে উত্তাল দেশ। ইতিমধ্যেই মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী ও ভাই শৌভিক চক্রবর্তী। এমসের ফরেন্সিক প্রধান ডা. সুধীর গুপ্তা জানিয়েছেন, সুশান্তের মৃত্য়ু 'গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্য়া'র ঘটনা। খুনের তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। এরপরই শনিবার বলিউডে মাদক যোগ নিয়ে দীর্ঘ নীরবতার পর মুখ খুললেন সুপারস্টার অক্ষয় কুমার। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ইনস্টাগ্রাম ও টুইটারে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে স্বীকার করে নিলেন বলিউডে মাদক যোগের কথা। কিন্তু এর জন্য গোটা ইন্ডাস্ট্রিকে বদনাম না করার জন্য ভক্তদের কাছে আর্জি জানিয়েছেন খিলাড়ি কুমার। বলেছেন, সবাই এমন অপরাধে শামিল নন।
ভিডিও বার্তার শুরুতেই তিনি ব্যথিত সুরে বলেছেন, "ভারী মনে আজ আমি এটা বলছি, গত কয়েক সপ্তাহে আমি অনেক কিছু বলতে চেয়েছিলাময কিন্তু চারপাশে এত নেগেটিভিটির জন্য আমি বুঝতে পারছিলাম না কী বলব, কাকে বলব এবং কতটা বলব। আমাদের যদিও স্টার বলা হয়। কিন্তু আপনাদের জন্যই আমরা এটা হতে পেরেছি। আপনারাই আজ বলিউডকে তৈরি করেছেন। আমরা শুধু কোনও ইন্ডাস্ট্রি নই। সিনেমার মাধ্যমে আমরা ভারতীয় মূল্যবোধ-সংস্কৃতিকে তুলে ধরি। দেশের মানুষের আবেগকে ভাষা দেওয়ার চেষ্টা করে সিনেমা। দুর্নীতি, বেকারত্বের বিরুদ্ধেই হোক না কেন। আজ আপনারা রেগে রয়েছেন, সেই রাগ আমরা বুঝি।"
এরপরই অক্ষয় কুমার বলেন, সুশান্তের মৃত্যুর পর কীভাবে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বহু অজানা তথ্য সামনে আসে। তিনি বলিউডে মাদকের ব্যবহার এবং সেই সমস্যার কথা স্বীকার করে নেন। বলেন, "সুশান্তের আচমকা মৃত্য়ুর পর এমন কিছু উঠে আসে যা আপনাদের সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরও ব্যথিত করে। যা হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অনেক খারাপ দিকের উপর আমাদের দেখতে বাধ্য করে। যেমন, নিষিদ্ধ মাদক, ড্রাগসের কথা। বলিউডে এই সমস্যা রয়েছে। আমি মানছি। কিন্তু সবাই এতে জড়িত নয়। এটা ঠিক নয়। ড্রাগ একটা আইনি বিষয়। আমি নিশ্চিত, আইনি বিচারপ্রক্রিয়া যা পদক্ষেপ করবে সেটা ঠিকই হবে। ইন্ডাস্ট্রির সবাই তাতে সহযোগিতাও করবে। কিন্তু আমি আবেদন করছি, সব বলিউড সেলেবকে অপরাধীর চোখে দেখা বন্ধ করুন। এটা ঠিক নয়।"
আরও পড়ুন ‘সুশান্ত খুন হননি, আত্মহত্য়াই করেছেন’, দাবি এমসের
এরপরই তিনি মিডিয়াকে সংবেদনশীল হওয়ার আবেদন করেন। বলেন, "আমি সবসময় মিডিয়ার শক্তির উপর বিশ্বাস করেছি। যদি মিডিয়া সঠিক সময়ে সঠিক ইস্যু তুলে না ধরে তাহলে বহু মানুষ প্রতিবাদের ভাষা এবং বিচার পায় না। আমি মিডিয়াকে বিশ্বাস করি। আমি আবেদন করছি, তারা যেন আওয়াজ তুলতে থাকে। কিন্তু সংবেদনশীল ভাবে। কারণ, একটা নেগেটিভ খবর একটা মানুষের ভাবমূর্তি শেষ করে দিতে পারে। যা সে বহু পরিশ্রম করে অর্জন করেছে।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন