তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়! তিনি গোটা একটা ইন্ডাস্ট্রি... তাঁকে নিয়েই গোটা টলিউড। তিনি সিনেমা গায়ে মাখেন, তিনি সিনেমাই ভাবেন। তাঁর আজ জন্মদিন। আর বলাই বাহুল্য, শাহরুখ বিক্রম রাঠোর এর ভূমিকায় যা বলেছেন, বুড়ো হবে তোর বাপ.. ৬১ তেও খাসা বুম্বা! আজও তাঁর প্রেমে পড়া যায়।
Advertisment
একসময় যীশু সেনগুপ্ত বলেছিলেন তাঁর মেয়ে সারা নাকি প্রসেনজিৎ এর সঙ্গে সিনেমায় ডেবিউ করতে চান। ৬০ পার করলেও প্রেমের সঙ্গে তাঁর এক আলাদাই সম্পর্ক। অর্থাৎ? তিনি একসময় প্রেমে পড়তেন। এখনও অনেকেই নাকি তাঁর প্রেমে পড়েন। এমনকি স্ত্রী অর্পিতা ইয়ার্কির ছলে বলেন, লোকজন তাঁর প্রেমে না পড়লে সিনেমায় সুযোগ কমে যাবে তাঁর। এককথায় রোমান্টিক হিরো তিনি, প্রেমের মানুষ না হলে হয়?
অভিনেতার জীবনে তিনটে বিয়ে। এই নিয়েও জলঘোলা কম হয়নি। সুদীপ্তা চক্রবর্তী একসময় মজার ছলে বলেছিলেন, জিজ্ঞেস করতে চান এতগুলো বিয়ে তিনি সামলালেন কী করে? তাও আবার ঠান্ডা মাথায়? এক সাক্ষাৎকারে, নিজের প্রথম বিয়ে সম্পর্কে বলতে গিয়েই তিনি বলেন..."ওটা একটা বিরাট গন্ডগোল। কী যে হয়ে গিয়েছিল। অনেকে তো এটা বলে, যে খেলনা বাটি খেলার মত আমাদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টা আরও ম্যাচিওর হতে পারত। ছেলেখেলা হয়ে গিয়েছিল।" দেবশ্রীর সঙ্গে খুব অল্প বয়সে বিয়ে হয় তাঁর। শুধু তাই নয়, সেই বিয়ে নিয়ে বেশ গন্ডগোল পর্যন্ত হয়েছিল।
বিয়ের সঙ্গে তাঁর আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক। বিয়ের নামে তাঁর কপাল খারাপ। প্রসেনজিৎ নিজেই জানিয়েছিলেন, ভগবান সবাইকে সবকিছু দেয় না। প্রেম আছে তাঁর জীবনে। আজও, মানুষ তাঁর প্রেমে পরে। কিন্তু তিনি এখন এসব থেকে দূরে। প্রেমের থেকে লুকিয়ে থাকেন তিনি। প্রেমের নামে ভয় পান তিনি। বয়সটা নেহাত কম না হলেও তিনি আজও সামনে এসে দাঁড়ালে সকলের মনেই ভেসে ওঠে একটা গান - "চোখ তুলে দেখো না কে এসেছে..."
প্রসঙ্গত, দশম অবতারে প্রবীর রায়চৌধুরী হিসেবে ফিরতে প্রস্তুত তিনি। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে আবারও ফিরছেন। প্রিকুয়ালের এক নতুন অধ্যায় সাজিয়ে ফেলেছেন সৃজিত। অভিনেতা জানিয়েছেন, সামনের দিনে তাঁকে পরিচালনার কাজে দেখতে পাওয়া যেতে পারে।