ভানু গোয়েন্দার জহর অ্যাসিসট্যান্ট! একে-অপরের ছায়াসঙ্গী যেন। ঋতু-বুম্বা জুটির প্রসঙ্গ উঠলেই সেকথা মনে হয়। ক্যামেরার নেপথ্যে দৃপ্ত দৃষ্টি রেখেছেন ঋতুপর্ণ ঘোষ, যেন কড়া মাস্টারমশাই, আর ওপারে একের পর এক শট দিয়ে যাচ্ছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। এই জুটি একটা সময়ে বাংলা সিনেমার দর্শককে ফের হলমুখো করেছিল। পর্দায় প্রেম-রোম্যান্সের সঙ্গে পারিবারিক রাজনীতি তুলে ধরেছিল এক অন্য মাত্রায়। 'উনিশে এপ্রিল', 'উৎসব', 'দোসর', 'খেলা' থেকে শুরু করে 'চোখের বালি'- তালিকা ক্রমে দীর্ঘ হচ্ছিল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। কিন্তু ওই হঠাৎ ২০১৩ সালে মে মাসে ছন্দপতন ঘটে। না ফেরার দেশে পাড়ি দেন প্রসেনজিতের প্রিয় বন্ধু ঋতু। সেই থেকে ৮ বছর 'ঋতুহীন' জন্মদিন পালন চলছে বুম্বার। আজও বন্ধুর চলে যাওয়ার এতগুলো বছর পরও স্মৃতিগুলো কেমন টাটকা তাঁর কাছে। তাই বোধহয় খানিক আবেগপ্রবণ হয়েই খোলা চিঠি লিখে ফেললেন ঋতুপর্ণ ঘোষের (Rituparno Ghosh) উদ্দেশে।
Advertisment
৩১ আগস্ট, ঋতুপর্ণ ঘোষের জন্মদিন। আজ তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো শুটিংয়ে হাজার ব্যস্ততার মাঝেও সাধ করে কারো হাতে আলু পোস্ত, পায়েস খেতে চাইতেন। খাদ্যরসিক বন্ধুর জন্মদিনে তাই প্রসেনজিৎও খোলা চিঠিতে সেই প্রশ্নটা পেড়ে ফেললেন। আবেগের সঙ্গেই জিজ্ঞেস করলেন- "আজকের মেন্যুতে আলু পোস্ত থাকছে তো?"
পরিচালক-অভিনেতা জুটির বাইরে গিয়েও ব্যক্তিগত জীবনে ঋতুপর্ণ ঘোষের ভীষণ কাছের মানুষ ছিলেন টলিউডের বুম্বা। এই স্বীকারোক্তি একাধিকবার নানা সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গিয়েছে। বারবার অভিনেতা বলেছেন- ঋতুপর্ণ তাঁর কাছে ফ্রেন্ড-ফিলোজফার-গাইড। সিনেদর্শকদের সঙ্গে এক অন্য বুম্বাকে কিন্তু পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষই। আজও খোলা চিঠিতে সেই অবদানের কথা বললেন প্রসেনজিৎ। অভিনেতার মন্তব্য, "আমার জীবনে তোর যে অবদান, তা কয়েকটি শব্দে বোঝানো সম্ভব নয়। তুই তা জানিস। বুঝিস তো…।"
না ফেরার দেশে চলে যাওয়া প্রিয় বন্ধু ঋতুর উদ্দেশে লেখা চিঠিতে আবদারও রেখেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, নতুন চিত্রনাট্য লেখা শেষ হলে যেন অতি অবশ্যই তাঁকে পরে শোনান।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন