মূলত পাঁচদিন ব্যাপী দীপাবলি উৎসবের শেষদিন ভ্রাতৃদ্বিতীয়া। প্রতিবছর নিয়ম করে বালিগঞ্জের বাড়িতে ভাইফোঁটা উদযাপন করেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। আজও ভাতৃদ্বিতীয়ার দিন বোনেদের থেকে ফোঁটা নিয়ে দিন শুরু হল বাংলার ইন্ডাস্ট্রির। বোন পল্লবী চট্টোপাধ্যায়, শর্মিলা সিং ফ্লোরা দাদার মঙ্গল কামনায় তাঁর কপালে ফোঁটা দেন। তবে টলিউডের ইন্ডাস্ট্রির বাড়ির এই অনুষ্ঠান বরাবরই ভীষণ স্পেশাল। কোনও নিয়মের ধার এদিন ধারেন না সকলের প্রিয় বুম্বাদা।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় আর পল্লবী চট্টোপাধ্যায়ের বন্ডিং অত্যন্ত গাঢ়। সম্প্রতি গুমনামী-তেও একসঙ্গে দেখা গিয়েছে তাদের। কিন্তু এই একটা দিন সকাল থেকে নিজে হাতে সমস্ত তৈয়ারি করেন পল্লবী। মাংস খেতে ভালবাসেন প্রসেনজিৎ, তাই সেটাও রেঁধে দাদার জন্য তৈরি করে রাখেন তিনি। এছাড়াও পায়েস, মিষ্টি তো আছেই। দাদাও শাড়ি উপহার হিসাবে দিয়েছেন বোনকে।
আরও পড়ুন, নিজের নয়, টেলি ও টলিপাড়ায় কাজের সূত্রেই ভাইবোন হয়ে উঠেছেন যাঁরা
তবে এই ভাই ফোঁটা নিয়ে বা ভাতৃদ্বিতীয়া নিয়ে একাধিক মত রয়েছে। কেউ বলেন বেদে বা পুরাণে বোনের হাতে যমের ভাইফোঁটা নেওয়ার কথা নেই! পাশাপাশি বলা হয়েছে যমী অর্থাৎ যমের বন নাকি কস্মিনকালেও যমকে ভাইফোঁটা দেননি! উপরন্তু ভাই-বোন হওয়া সত্বেও তাঁদের স্বামী-স্ত্রী-র নিরিখেই বিচার করা হয়।দীর্ঘকাল পর যমুনা দিদিকে দেখার জন্য কালী পুজোর দুদিন পরে অর্থাৎ ভাতৃদ্বিতীয়ার দিন যম যমুনার বাড়ি যাত্রা করে।
আরও পড়ুন, ঐশ্বর্য’র ম্যানেজারকে বাঁচালেন শাহরুখ, প্রশংসায় ভিডিও পোস্ট সলমনের
শর্মিলা সিং ফ্লোরাও নিয়ম করে ভাইফোঁটা দেন প্রসেনজিৎকে। এদিন প্রসেনজিৎ বলেন, ''ও প্রতিবছর ঘড়ি দেন। বাড়িতে তো ঘড়ির লাইন পড়ে গিয়েছে।'' বোনেরাও ফোঁটা দিয়ে দাদার পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে ভোলেন না। যমের দুয়ারে কাঁটা দিয়ে দাদার আগামীর যাত্রা শুভ করাই যে একমাত্র কামনা।