সত্যি, মৃত্যু বড় নিঃসঙ্গ। একাই তো যেতে হল তাঁকে। সাতটা বছর পেরিয়ে গিয়েছে, জীবন আবার নিজের ছন্দে আসীন। কিন্তু ঋতুর জায়গাটা ফাঁকাই থেকে গেল। মানুষ প্রিয়জনের মৃত্যুতে তাঁকে স্মৃতির অতলে লুকিয়ে রাখে, কিন্তু ভুলতে পারে না, চায় না। ঠিক যেমনটা প্রসেনজিৎ পারেননি। ঋতুপর্ণ ঘোষের অকাল প্রয়াণ মেনে নিতে হয়েছে বাধ্য হয়ে। তাই বলে কি বন্ধুত্ব শেষ হয়ে যায়!
এদিন সেই প্রাণের বন্ধুকে স্মরণ করেই অবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন বুম্বা। সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করলে তাঁর ঋতু কথা। সালটা ১৯৯৪। ছক বাঁধা গত ভাঙলেন ঋতুপর্ণ। তৈরি হল ‘উনিশে এপ্রিল’। নতুন করে বাঙালি চিনল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
তিনি লিখলেন, 'আজ ৭ বছর হয়ে গেলো তুই আমাদের ছেড়ে চলে গেছিস। আজও প্রত্যেক মূহুর্তে মনে পড়ে তোকে। কত স্মৃতি, কত না বলা অভিমান, কত অসম্পূর্ণ কাজ।তোর হাত ধরেই তো মানুষ আমায় নতুন করে চিনলো।তুই তো আমার অনিয়মের ঋতু, নিয়মের ঋতু...যেখানে থাকিস ভালো থাকিস বন্ধু'।
আরও পড়ুন, ‘আবার দেখা না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই কথা চলতে থাক’, ইরফানকে চিঠি সুতপার
বন্ধুর সঙ্গে চলা জীবনের স্মরণীয় মূহুর্তগুলোর কোলাজ করে তাঁকে স্মরণ করেছেন প্রসেনজিৎ। আবহে বাজছে তুমি রবে নীরবে। কাছের মানুষগুলোরে স্মৃতিতে এতগুলো দিন তো নীরবেই রয়ে চলেছেন ঋতু। বাঙালির এই সুপারস্টারকে অভিনেতার সংজ্ঞায় ফুলমার্কস পাইয়ে দিয়েছেন এই বন্ধুই। উত্সব, চোখের বালি, দোসর, খেলা, সব চরিত্র কাল্পনিক, নৌকাডুবি-একের পর এক চরিত্রে নিজেকে প্রমাণও করেছেন বুম্বা।
তবে কেবল প্রসেনজিৎ নয়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, মিমি চক্রবর্তী, যিশু সেনগুপ্তর মতো অভিনেতারা স্মরণ করেছেন পরিচালককে। সুজয়প্রসাদ, শ্রীজাত ও লোপামুদ্রা শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েছেন ‘৩০ শে মে’-র মাধ্যমে। অতঃপর, 'ঋতু সমাপন'।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন