বীরভূমের প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে সোনামণি রুজ। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষটির জীবনে একটাই স্বপ্ন। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে (Prosenjit Chatterjee) ছুঁয়ে দেখবেন। জীবনে অন্তত একবার। আর সেই আবদার সোনামণি রেখেছেন তাঁর গ্রামতুতো দাদা শিলাজিতের কাছে। অনেকবার বুঝিয়েও কাজ হয়নি। শেষমেশ গড়গড়ি গ্রামের বোনের আবদার 'ইন্ডাস্ট্রি'র কাছে পৌঁছতে বাধ্য হন গায়ক। সোনামণিকে পাশে নিয়েই প্রিয় বুম্বাদার উদ্দেশে একটি ভিডিও করেন। বিফলে যায়নি। অপরপ্রান্ত থেকে বিশেষ এই অনুরাগীর আবদারে সাড়া দিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও। তারকা-ফ্যানের মাঝে অনুঘটক শিলাজিৎ মজুমদার (Silajit)।
সোনামণির দরদ মাখা সেই ভিডিও দেখেই এখন আবেগে ভাসছে নেটপাড়া। প্রসঙ্গত, শিলাজিৎ মাঝেমধ্যেই বীরভূমে নিজের গ্রামে গিয়ে সময় কাটান। শিঁকড়ের টানে মাটির কাছাকাছি থাকা তাঁর পছন্দের। সেই সুবাদেই সোনামণি তাঁর গ্রামতুতো দাদা শিলাজিতের কাছে আবদার রেখেছিলেন, বুম্বাদার সঙ্গে দেখা করবেন। কিন্তু গায়ক-অভিনেতা তাঁকে শতবার বুঝিয়েছেন যে, প্রসেনজিতের কাছে পৌঁছনো অত সহজ নয়। একবছর আগে থেকে সময় নিতে হয়। বুম্বাদার মতো লোককে ছোঁয়া যায় না। কিন্তু কে শোনে কার কথা! সোনামণি নাছোড়বান্দা যে একটিবার প্রসেনজিতের সঙ্গে দেখা করবেন। গ্রামের বোনের সেই আবদার রাখতেই একটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করে টলিউড সুপারস্টারকে ট্যাগ করেন তিনি।
<আরও পড়ুন: ৪ দিনেই করোনামুক্ত দেব! তবে কোভিডবিধি মেনে এখনও আইসোলেশনে>
সোনামণি ঠিক করে কথা বলতে পারেন না। জড়তা রয়েছে। চাকচিক্যের প্রতি তাঁর কোনও আকর্ষণ নেই। বিশেষ শারীরিক ক্ষমতাসম্পন্ন হওয়ায় তাঁর ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত। তাঁর শয়নে-স্বপনে শুধুই বুম্বাদা। শিলাজিৎ যদি রসিকতা করেও কখনও বলেন, "বুম্বাদাকে মারব..!" ক্ষেপে লাল হয়ে যান মেয়ে।
শিলাজিতের ভিডিও দেখে এমন অনুরাগীর ডাক ফেরাতে পারেননি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা একটি ভিডিও দিয়ে গড়গড়ির সোনামণিকে প্রতিশ্রুতি দেন যে, অতিমারী কাটলেই তিনি গিয়ে দেখা করে আসবেন। পাশাপাশি এত ভালবাসার জন্য আপ্লুত অভিনেতা ধন্যবাদও জানান। সোমবার অর্থাৎ আজ প্রসেনজিৎ শিলাজিতের ফোনে ভিডিও কল করে সোনামণির সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন। এরপর কোনও একদিন সময় করে গড়গড়িতে পৌঁছে যাবেন বলে কথা দেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন