Prosenjit Chatterjee's special appearance in Keshav: দৈব মহিমায় অনেক অসম্ভবকেই সম্ভব করতে পারে কেশব কিন্তু কখনও কখনও তারও সাহায্যের প্রয়োজন হয়। সান বাংলা-র ধারাবাহিক 'কেশব'-এ আসতে চলেছে তেমনই একটি সন্ধিক্ষণ যেখানে পরিত্রাতার ভূমিকায় আসবেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অতি প্রিয় 'বুম্বাদা'। আগামী সোমবারই দর্শক টেলিপর্দায় দেখতে পাবেন এই মহাএপিসোড।
গোলাপে যেমন যে নামেই ডাকা যায়, সে 'মধু বিতরে', তেমনই শ্রীকৃষ্ণকে যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তিনি শ্রীকৃষ্ণ, বিষ্ণুর অংশ, জগতের রক্ষক। গীতার শ্লোক বলে, জগতে যখন যখন পাপের রাজত্ব কায়েম হবে, তখনই তিনি অবতার রূপে এসে আবারও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করবেন। সান বাংলা-র ধারাবাহিক 'কেশব'-এর গল্পটাও অনেকটা এই রকম-- শ্রীকৃষ্ণের অবতার কেশব শিশু বয়স থেকেই তার দৈবশক্তির বলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। কংসের মতোই এখানে তার শত্রু কালীকিঙ্কর যে নাকি তার নিজেরই মামা।
আরও পড়ুন: তৃতীয় ‘রাণী’, দ্বিতীয় ‘লোকনাথ’! এই সপ্তাহের সেরা দশ তালিকা
কালীকিঙ্করের ক্রমাগত চেষ্টা, কীভাবে কেশব ও তার পরিবারের ক্ষতি করা যায়। ওদিকে কেশব নিজের পরিবারকে বাঁচাতে বদ্ধপরিকর। ঘটনাচক্রে এখন কালীকিঙ্কর মৃত কিন্তু তার স্ত্রী সেকথা মানতে রাজি নয়। কেশবের মা, কালীকিঙ্করের বোন, দাদার শ্রাদ্ধ করতে চাইলে, কালীকিঙ্করের স্ত্রী বাধা সৃষ্টি করে। তার বক্তব্য, কালীকিঙ্কর যে মৃত তার কোনও প্রমাণ নেই এবং যদি কেশবের পরিবার শ্রাদ্ধ করে, তবে বুঝতে হবে কালীকিঙ্করের মৃত্যুর জন্য তারাই দায়ী।
ছবি সৌজন্য: সান বাংলা
তাই কেশবের বাবার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হয়। পাশাপাশি কালীকিঙ্করের স্ত্রীর পাঠানো গুন্ডারা পিছু নেয় কেশবের। কালীকিঙ্করের অস্থিকলস হাতে নিয়ে গুন্ডাদের থেকে পালাতে থাকে কেশব এবং এসে পড়ে একটি শুটিং স্পটে। ঠিক সেই সময়ই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় আসবেন স্বভূমিকায়। আর কেশবের ভূমিকায় অভিনয় করছে ছোট্ট অভিনেতা অভিরূপ কর্মকার।
আরও পড়ুন: ‘বটল ক্যাপ চ্যালেঞ্জ’ নিলেন বাংলার অভিনেতারা
কেশবকে পড়ে যেতে দেখে তিনি তাঁর হাত বাড়িয়ে দেবেন, পাশাপাশি মাটিতে পড়ে যাওয়ার আগেই সামলে নেবেন কালীকিঙ্করের অস্থিকলস। ওদিকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে দেখে পালিয়ে যাবে গুন্ডারা। ঠিক সিনেমায় যেমন হয়! এক ঘণ্টার এই মহাএপিসোডটি সম্প্রচার হবে আগামী সোমবার, ২২ জুলাই রাত সাড়ে আটটায়।
সান বাংলা-র এই ধারাবাহিকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরও প্রসেনজিৎ। ধারাবাহিকের ভাবনা, সংলাপ ও চিত্রনাট্য স্নেহাশিস চক্রবর্তীর। বাংলা টেলিজগতের সবচেয়ে স্বনামধন্য প্রযোজক-পরিচালকদের একজন তিনি। তাঁর অনুরোধেই এই স্পেশাল অ্যাপিয়ারেন্স, জানালেন প্রসেনজিৎ, ''স্নেহাশিসের সঙ্গে আমি বহু ছবিতে কাজ করেছি এর আগে। এখন বাংলা টেলিজগতে সে অত্যন্ত বড় নাম। স্নেহাশিস যখন প্রস্তাবটি দেয়, আমি কোনওভাবেই না করতে পারিনি। আর অভিরূপের সঙ্গে শুটিং করতে গিয়ে খুব নস্টালজিক হয়ে পড়েছিলাম। আমি যখন 'ছোট্ট জিজ্ঞাসা' দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করি, তখন আমার ওর মতোই বয়স ছিল। আমার আশা, এই মহাএপিসোডটি দর্শকের ভাল লাগবে।''