/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/12/20251011103629_rw-2025-10-12-12-56-35.png)
প্রয়াত শিল্পী...
ভারতীয় সংগীত দুনিয়ায় নেমেছে গভীর শোকের ছায়া। ১০ অক্টোবর, ২০২৫-এ প্রয়াত হয়েছেন জনপ্রিয় লোকগায়ক গুরমিত মান। রেখে গেছেন স্মৃতি, সুর ও আবেগে ভরা এক অনন্য অধ্যায়। গুরমিত মানকে পাঞ্জাবি লোকসঙ্গীতের এক অমূল্য সম্পদ বলা হয়। তাঁর গানের সুরে ধরা পড়ত পাঞ্জাবের মাটির গন্ধ, মানুষের সুখ-দুঃখ আর জীবনের সহজ সরল রূপ।
তাঁর গভীর আবেগ ও স্বতন্ত্র কণ্ঠস্বর তাঁকে আলাদা মর্যাদা এনে দিয়েছিল। শুধু একজন গায়ক হিসেবেই নয়, তিনি ছিলেন পাঞ্জাব পুলিশের এক নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা, যিনি কর্তব্য ও শিল্প—দুই জগৎকে সমানভাবে ভালোবেসেছিলেন। তাঁর এই দ্বৈত পরিচয় তাঁকে আরও শ্রদ্ধার আসনে বসিয়েছিল ভক্তদের হৃদয়ে।
কী হয়েছিল?
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই কিংবদন্তি শিল্পী। তাঁর কণ্ঠ একসময় পাঞ্জাবি সংস্কৃতির প্রাণ হিসেবে বিবেচিত হতো। তাঁর প্রয়াণে গোটা সংগীত জগৎ, বিশেষ করে পাঞ্জাবি লোকসংগীত পরিবার, শোকাহত ও স্তব্ধ।
Diane Keaton Dies: বিনো দুনিয়ায় নক্ষত্রপতন, জীবনাবসান অস্কারজয়ী কিংবদন্তি অভিনেত্রীর
গুরমিত মানের জনপ্রিয় গানগুলির মধ্যে রয়েছে ‘বলিয়া’, ‘বলী মেঁ পবন’ এবং ‘কাকে দিয়ান পুরিয়ান’, যা আজও শ্রোতাদের মুখে মুখে ফিরছে। প্রতিটি গানের কথায় ও সুরে ফুটে উঠত জীবনের সহজ সৌন্দর্য এবং পাঞ্জাবি সমাজের আত্মা। গায়িকা প্রীত পায়েলের সঙ্গে তাঁর গাওয়া গানগুলি-ও বিশেষভাবে স্মরণীয়—তাঁদের যুগল পরিবেশনা পাঞ্জাবি সংগীতে এক অনন্য সংযোজন হিসেবে বিবেচিত হয়।
গুরুদাসপুর জেলার পৈতৃক গ্রাম হরদোয়াল-এ তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। পরিবার, সহকর্মী ও অসংখ্য ভক্তের উপস্থিতিতে এক আবেগঘন পরিবেশে তাঁকে শেষ বিদায় জানানো হয়। মাত্র কয়েক দিন আগেই পাঞ্জাবি গায়ক-অভিনেতা রাজবীর জাওয়ান্ডার অকাল মৃত্যুতে সংগীতজগত এখনও শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি। সেই আঘাতের রেশ না কাটতেই গুরমিত মানের প্রয়াণ শিল্পীদের কাছে যেন এক হৃদয়বিদারক সংবাদ হয়ে এল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সহকর্মী শিল্পী ও অনুরাগীরা শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এই কিংবদন্তিকে। কেউ লিখেছেন- 'তাঁর গানের সুর কখনও ফিকে হবে না', আবার কেউ বলেছেন- 'তিনি শুধু একজন গায়ক নন, ছিলেন পাঞ্জাবের আত্মাও।'
গুরমিত মানের মৃত্যু নিঃসন্দেহে পাঞ্জাবি লোকসঙ্গীতের এক সোনালি অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়েছে। তবু তাঁর সৃষ্টি, তাঁর কণ্ঠস্বর ও পাঞ্জাবি সংস্কৃতির প্রতি তাঁর অনুরাগ আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দিয়ে যাবে- চিরকাল।