সাউথ বনাম নর্থ অর্থাৎ বলিউড বনাম দক্ষিণী ছবির সুপ্ত লড়াই বেশ কিছুদিন ধরেই যেন দাবানলের আকার নিয়েছে। বিগত দুবছরে সাউথের ছবির সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার বিষয়ে অনেকটা পিছিয়ে বলিউড ছবি। আর এবছর পরপর তিনটি ব্লক বাস্টার হিট - 'RRR', 'KGF 2' এবং 'পুষ্পা দ্যা রাইস' ছবির আকাশ ছোঁয়া সাফল্য যেন হিলিয়ে রেখে দিয়েছে বলিউডকে।
এদিকে তারকাদের অন্দরে এই নিয়েও চর্চা কম নয়। ছবির কোনও উত্তর দক্ষিণ হয় বলেই মনে করেননা ম্যাডি অর্থাৎ আর মাধবন। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আমি মনে করি এই নিয়ে অত্যধিক বেশি হইচই হচ্ছে। তিনটি ছবিতে, অবশ্যই ভাল কাজ হয়েছে। ঠিক যেমন হিন্দিতে 'দ্যা কাশ্মীর ফাইলস' রয়েছে। আবার 'ভুল ভুলাইয়া -২' ব্যবসা ভাল করেছে। মনে করি, মহামারীর কারণেই মানুষের সিনেমার প্রতি ধারণা বদলেছে। তাদের গ্রহণযোগ্যতা অনেকটা পরিবর্তিত হয়েছে। যে ফিল্ম তারা পছন্দ করে সেটা করবে, যেটা নয় সেটা করবে না। এটার সঙ্গে দ্বন্দ্ব বিবাদের কোনও প্রশ্ন নেই"।
আরও পড়ুন < ‘কর্মে ডাকাত, ধর্মে আজাদ’, আসছে ‘সামশেরা’, টিজারেই বাজিমাত রণবীর-সঞ্জয় দত্তর >
এবছরের শুরুর দিকে 'গাঙ্গুবাই' রিলিজ করার পরেও বলিউডের প্রতি অনেকের আস্থা ফিরে এসেছিল। সঞ্জয় লীলা বনসালির এই ছবি বেশ ভাল ব্যবসা করেছে। মাধবন বলেন, "সফল চলচ্চিত্রের সংজ্ঞা আসলে কী সেটা খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। বরং মানুষ আরও সিনেমাহলের দিকে ঝুঁকবেন এমন ছবি বানান। সিনেমার পছন্দ অপছন্দ থাকবেই, তবে সেটা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করলেই ভাল"।
বেশ কিছু ভাল ছবি মহামারীর কারণে ব্যবসা করতে পারেনি। তার মধ্যে, বড়পর্দায় রিলিজ করেনি 'শেরশাহ'-এর মত ছবি। '৮৩' সিনেমাও বেশি ভাল ফল করতে পারেনি। 'RRR', 'পুষ্পা' এবং 'KGF 2' হিন্দি ভাষায় অর্থাৎ প্যান ইন্ডিয়ায় রিলিজ করার পর থেকেই যেন উত্তেজনা তুঙ্গে। এদিকে, ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেই 'ব্রহ্মাস্ত্র', 'জওয়ান' এবং 'সামশেরা' মুক্তি পাবে হিন্দি ছাড়া আরও নানা ভাষায়। মাধবন এই প্রথম কোনও ছবি পরিচালনা করছেন, সেই নিয়েও বেশ আশাবাদী অভিনেতা। এছাড়াও আগামীতে বলিউডে রয়েছে একের পর এক ধুয়াধর প্রজেক্ট - দর্শকদের মনে ফের বলি ধামাকা হয় কিনা এখন সেটাই দেখার।