Rachana Banerjee Visits Hooghly School: হুগলী চুঁচুড়ার সাংসদ রচনা বন্দোপাধ্যায় কিন্তু নিজের দায়িত্ব একেবারেই ভুলে যাচ্ছেন না। বরং তিনি মাঝেমধ্যেই এলাকার স্কুল কলেজের হাল হকিকত পরিদর্শন করতে বেরিয়ে যাচ্ছেন। আর আজ তো একদম মিড ডে মিলের রান্নাঘরে ঢুকে পড়লেন। খতিয়ে দেখলেন সবটা।
আজকে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ( Rachana Banerjee ) দেখা গেল কলেজ থেকে স্কুল, সর্বত্রই পৌঁছে যেতে। এমনকি, তিনি এও দেখলেন রান্না কিভাবে হচ্ছে। নিজের এলাকায় তিনি বেশ কাজ করছেন কিংবা জনগণের খেয়াল রাখছেন একথা বলাই যায়। ২৫শে ডিসেম্বর উপলক্ষে তিনি ব্যান্ডেল চার্চে গিয়েছিলেন। অভিনেত্রী এবং সাংসদ প্রথমে কলেজে যান এবং তারপর চুঁচুড়া শহরের তিনটি স্কুলে যান।
জ্যোতিষচন্দ্র বিদ্যাপীঠ থেকে গরবাটি এবং অনুকূল চন্দ্র স্কুল পরিদর্শন করেন তিনি। সেখানে স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তিনি নানা বিষয়ে কথা বলেন। আলোচনা চলে স্কুলের ভালমন্দ নিয়েও। অভিনেত্রী এবং সংসদ শুধু যে ঘুরে দেখলেন এমন না, বরং মিড ডে মিলের খাবার খেয়েও দেখলেন তিনি। বাচ্চাদের কেমন রান্না এবং খাবার দেওয়া হচ্ছে সেটা পরোখ করে না দেখলেই নয়।
কী খেলেন রচনা?
মিড ডে মিলের খাবার নিয়ে নানা মন্তব্য শোনা যায়। কিন্তু রচনা এক কথায় ফুল মার্কস দিলেন। অভিনেত্রীকে বলতে শোনা গেল, "তেল মশলা ছাড়া এত সুন্দর রান্না। দশে দশ পুরো। খুব ভাল খেয়েছি। দিদিরা এত ভাল রান্না করে দিচ্ছে।" মিড ডে মিলের ফুলকপির ডালনা দিয়ে ভাত খেয়েছেন তিনি।
বাচ্চারা পরিষ্কার পরিবেশে, ঠিকঠাক খাবার পাচ্ছে কিনা, সেটাই দেখার আসল উদ্দেশ্য ছিল রচনার। তাই হঠাৎ করেই তিনি বেরিয়ে পড়েন রচনা। তিনি সাফ জানান, পরিবেশ এবং পরিপাটি খাবার দেখে তিনি আপ্লুত। যদিও বা, সাংসদ হলেও তিনি নিজের ব্যক্তিগত জীবনে যথেষ্ট আনন্দ-হই হুল্লোড় বজায় রেখেছেন। নতুন বছর উপলক্ষেও তাঁকে দেখা গিয়েছিল বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করতে। কিন্তু তারপরেই, আবারও নিজের কাজে ফিরলেন।
উল্লেখ্য, এবছর লোকসভা নির্বাচনে তিনি হুগলীর প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে জয়ী হন। এবং প্রথম বারেই হুগলীর মসনদে জায়গা করে নেন। তাঁর রাজনীতিতে প্রবেশ সাধারণত, অনেক ধরণের বিতর্কের জন্ম দেয়। কিন্তু না, তিনি ভোটের রেজাল্টের দিন সকলকে চুপ করিয়ে দেন নিজের জয় নিশ্চিত করে।