রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় মানেই প্রথম যে শব্দ মাথায় আসে, সেটা দিদি নম্বর ওয়ান। দীর্ঘ এতবছর ধরে তিনি এই শো পরিচালনা করছেন। এবং তিনি না থাকলে এই শো যে একেবারেই চলমান নয়, সেকথা দুই-তিনবার যখন সঞ্চালকের মুখ পাল্টেছিল তখনই বোঝা গিয়েছিল। রচনা যখন সাংসদ হওয়ার লড়াইয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, তখনও তিনি বলেছিলেন দিদি নম্বর ওয়ান ছাড়তে পারবেন না তিনি।
আর বর্তমানে সেভাবেই নিজের কাজকে মেন্টেন করছেন তিনি। একদিকে যেমন হুগলী লোকসভার হয়ে জন-প্রতিনিধিত্ব করতে দিল্লিতে পার্লামেন্টে যাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে দিদিদের নিয়ে প্রতিদিন শো হোস্ট করছেন তিনি। আর এবারই তাঁকে পেশাগতভাবে যারা রাজনীতিবিদ তাঁদের সঙ্গে অভিনেতা রাজনীতিবিদদের কী পার্থক্য সঙ্গে, পার্লামেন্ট ভিজিট নিয়েও নানা কথা বলতে শোনা গেল। কী বলছেন বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী?
Singer Passed Away: Rapper-কে গুলি করে নির্মম খুন, তদন্তে নেমেছে পুল…
রচনা শেষ কিছুদিন তাঁর স্টাইল বদলে ফেলার জন্য আলোচনায় রয়েছেন। তিনি, চুল ছোট করে কেটে ফেলে বেশ আলোচনায় রয়েছেন। এবার, তিনি কী বলছেন রাজনীতিবিদ এবং অভিনেতাদের? তাঁকে বলতে শোনা গেল...
Bollywood: ভারতের জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ অধরাই রয়ে গেল, মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লেন অস্কারজয়ী
যারা রাজনীতিবিদ সেটাই তাঁদের পেশা বা আসল কাজ, তাঁদের অবশ্যই পার্লামেন্ট যাওয়া উচিত। হ্যাঁ এখন একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরে গেল বা শরীর খারাপ, সেটা আলাদা ব্যাপার। কিন্তু যাদের পেশা শুধুই রাজনীতি তাদের অবশ্যই পার্লামেন্ট যাওয়া উচিত। কিন্তু যারা রাজনীতির সঙ্গে সঙ্গে অন্য পেশাতেও যুক্ত, তাঁদের পক্ষে সবসময় সম্ভব হয় না। এই যেমন আমি আমার তো অভিনয় বা সঞ্চালনাটা পেশা। আমি দিদি নম্বর ওয়ান ছেড়ে যেতে পারি না। ৩৬৫ দিন টেলিকাস্ট হওয়া একটা শো, এটা সবসময় ফেলে দেওয়া সম্ভব হয় না।"
এখানেই শেষ না। তিনি একজন অভিনেত্রী সঙ্গে রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ীও বটে। সব একা হাতে তাঁকে সামলাতে হয়। তাই নিজেকে ম্যানেজ করতে থাকেন প্রতিনিয়ত। তিনি বলছেন, "আমাকে সবটাই ম্যানেজ করতে হয়। শো-টা চালাতেই হবে আমায়। এমন একটা শো যেটা বন্ধ হলে আন্দোলন চলবে। সেটা আমি হতে দিতে পারব না। এগুলো আমায় দেখতেই হবে। এছাড়া আমার সংসারের কাজকর্ম আছে। আর কী? সব মিলিয়ে চলতে হয় আমায়। হয়তো, ১০০% আমি হাজিরা দিতে পারি না। কিন্তু, চেষ্টা করি।"