এতগুলো বছর যখন রেডিওতে নিজের কণ্ঠের মাধ্যমে সবাইকে মুগ্ধ করে রেখেছিলেন, তখন কি কোনও দরকার ছিল অন্য কোনও কাজ শুরু করাযদিও বা মীর এখনও সকলকে গল্প বলে বাংলার সাহিত্য এবং সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন নিখুতভাবে, তাও রেডিও যেন তাঁকে মিস করে। এবং এর দর্শকরাও।
আজ তাঁর ৫০ বছরের জন্মদিন। এই তো সেদিন হইহই করে শুরু করেছিলেন মীরাক্কেল। তারপর অসমশালা গেয়ে সবাইকে কাঁপিয়ে দিলেন। তাঁর জোকস শুনে হাসতে শুরু করল গোটা বাংলা। কিন্তু, বছর তিনেক আগেই মীর আলবিদা জানিয়েছিলেন রেডিওকে। সকাল সকাল আর চেনা কণ্ঠ শোনা যাবে না ভেবেই বাঙালি সেদিন ঢোক গিয়েছিলেন। কিন্তু এই ৩টে বছর মীরের কেমন কাটল?
বেলার দিকেই মাথায় বার্থডে ক্যাপ, সামনে কেক, মীর সমাজ মাধ্যমে তাঁর জন্মদিন পোস্ট করেই লিখেছিলেন, এভাবেই আজকের দিনে মীরের ৫০ বছর পূর্ণ হল। সকাল থেকে হয়তো বা অনেক শুভেচ্ছা পেয়েছেন। কিন্তু, রেডিও ছেড়ে যে তিনি থাকতে পারবেন এমনটা ভাবতেও পারেননি তিনি। এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন...
একটা সময় মনে হত আমি রেডিওর সঙ্গে যুক্ত। আমি আর রেডিও একে অপরের পরিপূরক। কিন্তু, এখন তো নিজের মতো কাজ করছি। ভাল আছি, না জানি এটা কীভাবে হল?" একথা অজানা নয় যে তিনি সম্প্রতি অভিনয় করেছেন, বিনোদিনী ছবিতে। যেখানে তাঁকে গুরমুখ রাইয়ের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল। এবং নিজের অভিনয়ের জন্য তিনি দারুণ প্রশংসা পেয়েছেন।
তবে, এখনও কিছু একটা হারানোর ভয় পান তিনি। যদিও বা রেডিও থেকে সরেছেন তিনি। কিন্তু মানুষের মনোরঞ্জনের দায়িত্ব আজও নিয়ে রেখেছেন। তাঁর তো এক্কেবারেই গল্প বলা কাজ, সেকারণেই এই একটা বিষয়ে বেশ ভিতু তিনি। মীর জানিয়েছেন,
তাঁর অন্যতম সম্পদ তাঁর গলার স্বর। সেই স্বর যদি কোনোদিন হারিয়ে যায়, তবে তাঁর বেশ বিপদ। সেদিন নাকি তিনি শেষ হয়ে যাবেন, একারণেই এত ভয় পান অবচেতনে, এমনটাও জানিয়েছেন তিনি।