Krishnakoli villain Raj Bhattacharya: এখনও ঠিক স্পষ্ট করে না বললেও, ২৫ অগাস্টের এপিসোড যাঁরা দেখেছেন তাঁরা আভাসটুকু পেয়েছেন। কৃষ্ণকলি ধারাবাহিকে শ্যামার জীবনে যে নতুন করে ঝড় উঠতে চলেছে তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। বিখ্যাত বাউল গায়কের চরিত্র নিয়ে ধারাবাহিকে এসেছেন রাজ ভট্টাচার্য। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে জানালেন অভিনেতা, ঠিক কেন এই ধারাবাহিক গুরুত্বপূর্ণ তাঁর কাছে।
'''কৃষ্ণকলি'-র এই চরিত্রটা খুব স্পেশাল কারণ আমি কখনও বাউলের চরিত্র করিনি অথচ বাউল গান খুব ভালবাসি। শান্তিনিকেতনে বা আমাদের বারাসতে অনেক বাউল উৎসবে গিয়েছি। শুধু বাউল নয়, যে কোনও লোকগানই আমার খুব প্রিয়। 'কৃষ্ণকলি'-র চরিত্রটা একজন খুব বিখ্যাত এবং গুণী বাউল শিল্পী, যে সব সময় একটা ঘোরের মধ্যে থাকে। ঘোরে থেকেই সমস্ত কথাগুলো বলে। তবে চরিত্রটার একটা অন্য রকম ডায়মেনশন আছে যেটা ক্রমশ প্রকাশ্য'', বলেন রাজ। আপাতত যেটুকু দেখেছেন দর্শক, সেটা হল শ্যামার সঙ্গে গান রেকর্ডিং করতে চান বিখ্যাত গায়ক কিন্তু এই চাওয়ার পিছনে যে অন্য অভিসন্ধি রয়েছে তা আকারে-ইঙ্গিতে ধারাবাহিকের ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরই জানিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: রেটিং বাড়ছে ‘শ্রীময়ী’-র তবু ধরাছোঁয়ার বাইরে ‘কৃষ্ণকলি’, রইল সাপ্তাহিক সেরা দশ তালিকা
একেবারে মেগাসিরিয়ালের সিগনেচার 'বিল্ড আপ', তিন এক্কে তিন অতিনাটকীয় ক্লোজ শট দিয়েই হয়েছে মেগা এন্ট্রি। এই চরিত্রটি যে অনেক দূর যাবে, তা মোটামুটি অনুমেয়। এতদিন শ্যামার বিরুদ্ধে মূলত চক্রান্ত ছিল তার পারিবারিক পরিসরে। এবারের চক্রান্তের ব্যাপ্তিও বেশি আর ফলাফলও হতে পারে সুদূরপ্রসারী। অনেক বড় ক্ষতিরও আশঙ্কা রয়েছে। চরিত্রটি প্রথমেই তেমন ইঙ্গিত দিয়েছে।
রাজ ভট্টাচার্য আবারও অনেক দিন পরে কাজ করছেন প্রযোজক-চিত্রনাট্যকার সুশান্ত দাসের সঙ্গে। এর আগে প্রযোজকের 'দীপ জ্বেলে যাই' ধারাবাহিকে খলনায়ক ময়াঙ্ক শর্মার চরিত্রে অভিনয় করেন রাজ। ওই চরিত্রটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল তো বটেই, পাশাপাশি ওই চরিত্রের জন্য সেরা খলনায়কের পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি। আবারও একটি খল-চরিত্র নিয়ে ফিরলেন সুশান্ত দাসেরই 'সুপারহিট' ধারাবাহিকে।
আরও পড়ুন: এবার একটু নিজের দিকে তাকানোর সময় পাব: স্বস্তিকা
''ময়াঙ্ক শর্মা আমার অভিনয় জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা চরিত্র। খুব আনন্দ করে, রাতের পর রাত জেগে শুটিং করেছি। অনেকটা পরিবারের মতো হয়ে গিয়েছিল। আর সুশান্তদা খুব ডাউন টু আর্থ একজন মানুষ। নিঃসংকোচে যে কোনও মানুষকে কাছের করে নিতে পারে। তার সঙ্গে চরিত্র নিয়ে আলোচনা করা যায়'', বলেন রাজ, ''আমাকে আগের দিন রাত্রিবেলা বলা হয়েছিল কাল 'কৃষ্ণকলি'-র এই চরিত্রটা করতে হবে। আমি তখন বারাসতে ছিলাম। আমার আশ্রমের কিছু কাজ ছিল। সেগুলো বাদ দিয়ে অনেক ভোরবেলায় আমাকে চলে আসতে হয়। আমার লুকসেট হল। চরিত্রটা তার পরে আমি বুঝলাম।
একজন লেখক যখন নিজে বলে দেন যে এরকম চাইছি, তখন একজন আর্টিস্টের পক্ষে কাজ করা সুবিধে হয়। পরবর্তীকালে চরিত্রটা কোন জায়গায় যেতে পারে, তার একটা আগাম আভাস পাওয়া যায়। সেই সুশান্তদার কাছ থেকে সব সময় পেয়েছি। চরিত্রকে কীভাবে লার্জার দ্যান লাইফ করা যায়, সুশান্তদা সব সময় সেটা নিয়ে ভাবেন। 'দীপ জ্বেলে যাই'-তে ময়াঙ্ক শর্মা খুব হিট চরিত্র ছিল। সেটাও সুশান্তদার ব্রেনচাইল্ড কিন্তু আমাকে আমার স্পেসটা দেওয়া হয়েছিল। এখানেও সেই স্পেসটা পাচ্ছি। দেখা যাক নতুন এই চরিত্রটা কত দূর যায়!''