Raj Chakraborty, Sayantika Banerjee: শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বড়সড় সিদ্ধান্ত। যুব তৃণমূলের সভানেত্রী হলেন সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। যে পদে কিনা এযাবৎকাল ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। অন্যদিকে দলের আরও দুই তারকা সদস্যকে বসানো হল গুরুত্বপূর্ণ পদে। প্রথমত ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীকে (Raj Chakraborty) সাংস্কৃতিক সেলের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হল। অন্যদিকে, ভোটে হারলেও অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Sayantika Banerjee) বসানো হল রাজ্য সম্পাদকের পদে।
প্রসঙ্গত সায়নী, রাজ, সায়ন্তিকারা একুশের বিধানসভা ভোটের (West Bengal Assembly Election 2021) মুখে তৃণমূলে (TMC) যোগ দিয়েছিলেন। উপরন্তু নির্বাচনী টিকিটও পেয়েছেন। তিন তারকার মধ্যে রাজ চক্রবর্তীই একমাত্র জিতে ব্যারাকপুরের (Barrackpore) বিধায়ক হয়েছেন। তবে বাঁকুড়ায় (Bankura) সায়ন্তিকা কিংবা আসানসোল (Asansol South) দক্ষিণে সায়নী ঘোষ, প্রচারের ময়দানে বেজায় কসরত করলেও ভোটে জিততে পারেননি। তবে নির্বাচনী মার্কসিটে নিজেদের কেন্দ্র থেকে তৃণমূলকে আগের থেকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন এই দুই অভিনেত্রী।
সায়নী-সায়ন্তিকা দু'জনেই দলনেত্রীর প্রিয়পাত্রী। প্রচারের ময়দানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে দরাজ সার্টিফিকেট পেয়েছিলেন। তবে নির্বাচনী হারের পরও কিন্তু দমে যাননি দুই অভিনেত্রী। সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বাঁকুড়া বিনামূল্যে দুয়ারে অক্সিজেন পরিষেবা চালু করেছেন, খুলেছেন কোভিড সেফ হোম, সেখানে সায়নী ঘোষ পৌঁছে গিয়েছেন আসানসোলের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে ত্রাণ নিয়ে। বাচ্চাদের হাতে তুলে দিয়েছেন অতিমারী মোকাবিলার জন্য অত্যাবশকীয় পণ্যদ্রব্য। তৃণমূলের দুই তারকা নেত্রীর এমন স্পিরিট মুগ্ধ করেছে অনেককেই। এবার দলের তরফে বিশেষ পদে বসানো হল সায়নী ঘোষ এবং সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
নির্বাচনী ফলাফলের পর গোটা আসানসোল জুড়ে দাবি উঠেছিল, প্রশাসনিক পদে সায়নী ঘোষকে চাই। শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সেই ইচ্ছেই যেন পূরণ হল। গুরুত্বপূর্ণ দলীয় পদ পেলেন সায়নী। অন্যদিকে রাজ্য সম্পাদক করা হল সায়ন্তিকাকে।
<আরও পড়ুন: Anirban Bhattacharya: বলিউডকে বলো ‘খোকা’ আসছে! অনির্বাণের সহ-অভিনেত্রী রানি?>
উল্লেখ্য, পরিচালক রাজ চক্রবর্তী বিধায়ক হয়েই ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। কোথাও দুঃস্থদের হাসপাতালে ভর্তি করছেন তো আবার কোথাও বা বন্ধ বাজার পরিদর্শন করে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁর সুরাহা করছেন। খুলেছেন কোভিড হাসপাতাল। আবার ব্যরাকপুরের নিকাশী ব্যবস্থার দিকেও কড়া নজর তাঁর। সিনে-পরিচালকের এহেন জনসেবামূলক ভূমিকা দেখেই তৃণমূলের কালচারাল সেলের প্রধান পদে বসানো হল রাজ চক্রবর্তীকে। কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেরও কর্তা তিনি এখন। কাজেই সাংস্কৃতিকমহলে বিশেষ যোগাযোগ থাকার ফলেই রাজকে সাংস্কৃতিক সেলের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে তৃণমূল কংগ্রেস দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে সেভাবে যুব-মুখদের দেখা যায়নি। তবে একুশের নির্বাচনী জয়ের পর ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে নবীন তারকা নেতা-নেত্রীদের যেভাবে গুরুদায়িত্ব দেওয়া হল, তাতে যে সবুজ শিবির যুবপ্রজন্মকে আরও বেশি করে উদ্বুদ্ধ করার প্রচেষ্টা করছে, তা বলাই যায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন