/indian-express-bangla/media/media_files/2024/12/12/QFJyR3zoE9ZN2MEYZsT6.jpg)
তাঁকে নিয়ে যা ভাবতেন তাঁর বাবা... Photograph: (ফাইল)
গীতা বালি, মধুবালা, ভরত ভূষণসহ আরও অনেক আইকনের ক্যারিয়ার শুরু করার কৃতিত্ব প্রয়াত চলচ্চিত্রকার কেদার শর্মার। পাকিস্তান থেকে কলকাতা হয়ে মুম্বাইয়ে আসা তিনি প্রথমে গীতিকার ও অভিনেতা হিসেবে কাজ করেন, পরে পরিচালক হিসেবে নীল কমল, বাওরে নাইন, যোগন–এর মতো স্মরণীয় ছবি নির্মাণ করেন। তবে রাজ কাপুরের জীবনে তাঁর অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
রাজ কাপুরকে তাঁরকা হিসেবে প্রতিষ্ঠা দেওয়ার আগে, কেদার শর্মাকে এক বিশেষ দায়িত্ব দেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু পৃথ্বীরাজ কাপুর। পৃথ্বীরাজ তখন গভীর হতাশায় ছিলেন, কারণ তাঁর ছেলে কিশোর বয়সে পড়াশোনা ছেড়ে উচ্ছৃঙ্খল জীবনে জড়িয়ে পড়ছিল। তিনি আক্ষেপ করে বন্ধুকে জানান, রাজ প্রায়ই রেড লাইট এলাকায় যেত এবং পড়াশোনার প্রতি একটুও আগ্রহ ছিল না। তখন কেদার শর্মা প্রতিশ্রুতি দেন, তিনি রাজকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনবেন।
Zubeen Garg Demise: বিশৃঙ্খল জীবনে 'না', রাজার মতো মৃত্যু হোক, এটাই চেয়েছিলেন জুবিন?
শর্মা, রাজকে একেবারে শুরু থেকে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। তিনি তাকে সহকারী হিসেবে নিজের কাছে রাখেন। রাজ প্রতিবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালে চুল আঁচড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়ত। শর্মা একাধিকবার সতর্ক করলেও সে অভ্যাস যায়নি। একদিন শুটিংয়ের সময় বিরক্ত হয়ে তিনি রাজকে চড় মারেন। রাজের মুখে চিহ্ন পড়ে যায়, আর সেদিন রাতে অপরাধবোধে শর্মা ঘুমোতে পারেননি। পরদিন রাজ আবার তাঁর কাছে আসে, মুখে সেই দাগ নিয়েই। তখনই শর্মা বুঝতে পারেন রাজ পরিচালক নয়, অভিনেতা হওয়ার জন্যই জন্মেছে।
তিনি রাজকে সুযোগ দেন এবং নীল কমল ছবির জন্য ২৫ হাজার টাকা সম্মানীসহ তাকে নায়ক হিসেবে লঞ্চ করেন। এই ছবির মাধ্যমেই শুরু হয় এক কিংবদন্তির যাত্রা।
পরে রাজ কাপুর হিন্দি সিনেমার অন্যতম শ্রেষ্ঠ তারকা, প্রযোজক ও পরিচালক হয়ে ওঠেন। তাঁর চলচ্চিত্র ভারতের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বে বলিউডকে পরিচিত করে তোলে। কাপুর পরিবারের পিতৃপুরুষ হিসেবে তিনিই সেই উত্তরাধিকার গড়ে তোলেন, যা আজও বলিউডে অটলভাবে বহমান।