/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/20/zubeen-2025-09-20-10-58-05.jpg)
যা বলেছিলেন জুবিন...
১৯৯০-এর দশকে সংগীতজীবন শুরু করে বলিউডে নিজের ছাপ রেখেছিলেন অসমের ছেলে এবং ভারতীয় সঙ্গীতের অন্যতম কিংবদন্তি শিল্পী জুবিন গর্গ। মুম্বইয়ে এসে তিনি গেয়েছিলেন জনপ্রিয় গান গ্যাংস্টার-এর 'ইয়া আলি', নমস্তে লন্ডন-এর 'দিলরুবা', এবং কৃষ ৩-এর 'দিল তু হি বাতা'-র মতো হিট ট্র্যাক। তবুও বলিউডের মূলধারার মনোভাব তাঁকে নিরাশ করে তোলে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "মুম্বইয়ে বিশৃঙ্খলা অনেক বেশি। আমি এখানে, আসামে, রাজার মতো মরব।"
গত জানুয়ারিতে পিওপি পাভেলোপিডিয়ার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে প্রয়াত গায়ক জুবিন গর্গ খোলামেলা ভাবে বলেছিলেন কেন তিনি মুম্বই ছেড়ে আসামে ফিরে আসেন। তাঁর কথায়, “মুম্বইয়ের পরিবেশ থেকে মুক্তি চাইতাম। তাই আমি সবাইকে বলেছিলাম, তোমরা বরং এখানে এসো। আমি এখানে, আসামে, রাজার মতো মরব। মুম্বইয়ে এখনও আমার একটি বাড়ি আছে, কিন্তু আমি সেই বিশৃঙ্খলা পছন্দ করি না। ওখানে সবকিছুই অনেক বেশি জটিল।”
জীবনের এক কঠিন সময়ে তিনি সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছিলেন উলফা (ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম)-কে। তাঁকে হুমকি দেওয়া হলেও তিনি নির্ভীকভাবে জানিয়েছিলেন, "আমি গান গাইবই, যে ভাষাতেই হোক না কেন।" সেই সাহসী অবস্থান তাঁকে সম্মান এনে দেয়। নিজের চরিত্র নিয়ে তিনি বলেছিলেন, "এটা মনোভাব নয়, এটা আত্মসম্মান। রাজা কখনও তার রাজ্য ত্যাগ করে না।"
Deepika Padukone: হাত ধরলেন শাহরুখ, কল্কি টিমকে উচিত শিক্ষা দিলেন দীপিকা
দুর্ভাগ্যবশত, মাত্র ৫২ বছর বয়সে থেমে গেল এই তারকার জীবন। সিঙ্গাপুরে উত্তর-পূর্ব ভারত উৎসবে সাংস্কৃতিক ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। উৎসব আয়োজকদের বক্তব্য অনুযায়ী, স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সঙ্গে থাকা আসাম অ্যাসোসিয়েশন সিঙ্গাপুরের সদস্যরা দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান এবং আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তবে সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জুবিন।
অসমের মাটিতে জন্ম নেওয়া এই বহুমুখী শিল্পী গায়ক, অভিনেতা, সুরকার- সব ক্ষেত্রেই অমোঘ ছাপ রেখে গেছেন। তাঁর নির্ভীকতা, সঙ্গীতপ্রতিভা এবং সাংস্কৃতিক অবদান তাঁকে শুধু অসম নয়, সমগ্র ভারতে জনপ্রিয় করেছে।