চেন্নাইয়ে একদল চিত্র পরিবেশক, অর্থাৎ ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউটরের সঙ্গে আজ বৈঠকে বসছেন সুপারস্টার রজনীকান্ত। বৈঠকের বিষয়? রজনীকান্তের সাম্প্রতিকতম ছবি 'দরবার'-এর বক্স-অফিসে মুখ থুবড়ে পতন।
লাইকা প্রোডাকশনস প্রযোজিত এই ছবি মুক্তি পায় বছরের গোড়ায়, মাথায় বিপুল প্রত্যাশার বোঝা নিয়ে। রজনীকান্তের ছবি বলে কথা। তার ওপর এই প্রথম একসঙ্গে কাজ করেছেন কিংবদন্তী তামিল সুপারস্টার এবং 'গজিনী' খ্যাত পরিচালক এ আর মুরুগাদস। ভাবা হয়েছিল, সবরকম বক্স-অফিস রেকর্ড ভেঙে তছনছ করে দেবে এই ছবি। অথচ বাস্তবে দেখা গেল, ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন প্রযোজক এবং ডিস্ট্রিবিউটররা। যে পরিমাণ টিকিট বিক্রি হবে বলে ভাবা গিয়েছিল, তার সিকিভাগও হয় নি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এক সূত্র জানিয়েছে, ক্ষিপ্ত ডিস্ট্রিবিউটররা তাঁদের আর্থিক ক্ষতির একটি তালিকা প্রস্তুত করেছেন, যা তাঁরা বৈঠকে ধরিয়ে দেবেন রজনীকান্তের হাতে। তবে মিডিয়াকে এখনও দেখানো হয় নি সেই চিঠি।
আরও পড়ুন: ‘পদ্মশ্রী’ বিতর্ক, কড়া জবাব দিলেন আদনান সামি
প্রযোজক তথা ডিস্ট্রিবিউটর জি ধনঞ্জয়নের কথায়, "যদি ক্ষতির পরিমাণ সাধ্যের মধ্যে হয়, ধরুন ১০ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে, তাহলে আমরা বুঝি। কিন্তু তার বেশি লোকসান হলে ম্যানেজ করা খুব কঠিন হয়ে যায়।"
অতীতেও নিজের ছবি বড় রকমের ফ্লপ করলে ডিস্ট্রিবিউটরদের টাকা ফেরত দিয়েছেন রজনীকান্ত। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৪ সালে 'লিঙ্গা' এবং ২০০২ সালে 'বাবা' নামক ছবিগুলি চলে নি একেবারেই, যার ফলে ডিস্ট্রিবিউটর এবং প্রদর্শকদের লোকসানের ক্ষতিপূরণ দেন এই মহাতারকা।
আপাতত 'দরবার' কতটা লোকসান করেছে তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায় নি, তবে ডিস্ট্রিবিউটররা ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ক্ষতিপূরণ চাইবেন রজনীকান্তের কাছে।
আরও পড়ুন: ভালবাসার খেলা! জটিল ধাঁধা প্রতিমের ‘লাভ আজ কাল পরশু’
জনপ্রিয় ফিল্ম পরিবেশক তিরুপুর সুব্রমনিয়ম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, "আমাদের হিরোরা যদি কাজের জন্য বেতন না নিয়ে লাভের অংশ নিতেন, তাহলেই কোনও অসুবিধে হতো না। হিন্দি ছবির অসংখ্য অভিনেতা ছবির লাভের একটা অংশ নেন পারিশ্রমিক হিসেবে। ইংরেজি ছবিতেও কোনও নির্দিষ্ট বেতন নেই। প্রফিট হলে ৬০ শতাংশ নেবেন হিরো, ৪০ শতাংশ যাবে প্রযোজকের কাছে।" তাঁর বক্তব্য, একমাত্র তামিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেই অভিনেতারা পুরো টাকা দাবি করেন, ছবি চলুক বা না চলুক।
ইন্ডাস্ট্রির এক সূত্রের দাবি, 'দরবার'-এর জন্য রজনীকান্তের পারিশ্রমিক ছিল ১০৮ কোটি টাকা।