/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/11/pradipta-759.jpeg)
নন্দন চত্বরে টিকিট বিক্রি করছেন প্রদীপ্ত।
সেপ্টেবর মাসে মুক্তি পেয়েছিল প্রদীপ্ত ভট্টাচার্যের ছবি 'রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত'। কলকাতার সিনেমা হলে ছবি রিলিজ করানোর জন্য কম ঝঁক্কি পোহাতে হয়নি তাঁকে। ২০ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল প্রদীপ্ত ভট্টাচার্যের ছবি ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’-র। কিন্তু শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কলকাতায় হল না পাওয়ার কারণে পিছিয়ে গিয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি, তাও শর্তসাপেক্ষে।
প্রথম চারদিন হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে দর্শক না হলে ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’-কে হল থেকে উঠে যেতে হবে। হলও তাই। পুজোর আগেই মাত্র চারদিনে হল থেকে তুলে নেওয়া হল এই ছবি। তবে লড়াই ছাড়েননি পরিচালক। কয়েকদিন আগে জানা গিয়েছে ২৯ ও ৩০ নভেম্বর ফের এই ছবি দেখানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কীভাবে?
আরও পড়ুন, চলচ্চিত্র উৎসবে প্যানোরমা বিভাগে নির্বাচিত ‘বাকি ইতিহাস’
নিজের উদ্যোগেই ছবিটি পৌঁছে দিতে চান দর্শকের কাছে, তাই ছবির স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করে ফেলেছেন প্রদীপ্ত। ২৯ ও ৩০ তারিখ যোগেশ মাইম একাডেমিতে দুপুর ২.৩০ এবংং সন্ধ্যে ৬.৩০ টায় দেখানো হবে 'রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত'। এদিন কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে দেখা গেল ছবির টিকিট বিক্রি করছেন পরিচালক।
পরিচালক বললেন, "এবার ছবিটা চারদিনও রাখতে দেয়নি। তাই এসব নিয়ে আমার আর কিছু বলার নেই। নিজেই ছবি দেখানোর ব্যবস্থা করে নেব। বাকিটা ব্যক্তিগত-র সময়েও করেছিলাম। তখন গ্রাম থেকে শহরে ছিল এবার শহর থেকে শুরু এবং টিকিট বিক্রি করে। অনেক লেখা পড়েছি যেখানে মানুষ আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। এবার আমি যখন শোয়ের ব্যবস্থা করছি তখন দর্শক আসেন কিনা সেটাই দেখার। একটা এক্সপেরিমেন্টও বলতে পারেন।"
আরও পড়ুন, কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভালের মেজাজ আর কোথাও নেই: তন্নিষ্ঠা চট্টোপাধ্যায়
পরিচালক মনে করেন, এখন যেটা চলছে সেটা হওয়া উচিত নয়, নিদেনপক্ষে ২ সপ্তাহ সময় দেওয়া প্রয়োজন ছবিটার মেরিট আছে কিনা বোঝার জন্য। প্রদীপ্তর সাফ কথা, "কোনো আপিল করায় আমি নেই। ছবি দেখাব। যদি হল না পাই নিজে ব্যবস্থা করে দেখাব। হল না দিলেও ইন্টারনেটে তো চলবে। আমি তা নিয়ে ভাবিত নই। শুধুমাত্র বড়পর্দার আনন্দটা দিতেই এটা করছি।"
কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে ১০০ টাকার টিকিট বিক্রি করছেন পরিচালক নিজে এবং সঙ্গে এদিন দেখা গেল সোহমকেও।