Rakesh Roshan: 'হৃতিক-ও কি একদিন?' চমকে গিয়েছিলেন রাকেশ, সেদিন রাতে কেন ঘুম এল না তাঁর?

এই ছবির জন্যই তিনি চেয়েছিলেন একজন সেরা কোরিওগ্রাফার, আর সেই সময় পাশে ছিলেন ফারাহ খান। বহু বছর পর, এক বিনোদনমূলক ভ্লগে আবার মুখোমুখি হলেন দু’জন। অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করতে করতে তারা বুঝতে পারলেন...

এই ছবির জন্যই তিনি চেয়েছিলেন একজন সেরা কোরিওগ্রাফার, আর সেই সময় পাশে ছিলেন ফারাহ খান। বহু বছর পর, এক বিনোদনমূলক ভ্লগে আবার মুখোমুখি হলেন দু’জন। অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করতে করতে তারা বুঝতে পারলেন...

author-image
IE Bangla Entertainment Desk
New Update
Rakesh-Roshan-1

রাকেশ যা বললেন...

একসময় বলিউডের সোনালি দিনে, ১৯৮৭ সালে রাকেশ রোশন পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন খুদগর্জ ছবির মাধ্যমে। তারপরে একে একে খুন ভারী মাং, কালা বাজার এবং কয়লা-র মতো ছবিতে নিজের স্বতন্ত্র ছাপ রেখে দেন। কিন্তু ২০০০ সালেই যেন তার জীবনের সবচেয়ে বড় মোড় আসে। সেই বছর তিনি তাঁর ছেলে হৃতিক রোশনকে আমিশা প্যাটেলের সঙ্গে জুটি বেঁধে লঞ্চ করেছিলেন ব্লকবাস্টার ছবি কহো না... পেয়ার হ্যায় দিয়ে। 

Advertisment

এই ছবির জন্যই তিনি চেয়েছিলেন একজন সেরা কোরিওগ্রাফার, আর সেই সময় পাশে ছিলেন ফারাহ খান। বহু বছর পর, এক বিনোদনমূলক ভ্লগে আবার মুখোমুখি হলেন দু’জন। অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করতে করতে তারা বুঝতে পারলেন, সময় কতটাই না বদলে গেছে। ফারাহ হাসতে হাসতে বললেন, “মনে আছে? তখন মাত্র ৩০-৪০ জনের ছোট্ট একটি দল নিয়ে আমরা কাজ করতাম।” রাকেশ মাথা নেড়ে সম্মতি দিলেন, “হ্যাঁ, ৩০-৪০ জনই।” তারপর ফারাহ আজকের দিনের সঙ্গে তুলনা করলেন, “এখন তো অন্তত ২০০ জন নিয়ে শুটিং হয়। যেন একটা মেলার মতো লাগে। শুধু একজন অভিনেতার সঙ্গেই কমপক্ষে ২০ জন লোক থাকে!” রাকেশও মজা করে বললেন, “২০-২৫ জন হবেই।”

এই স্মৃতিচারণের মাঝেই রাকেশ শোনালেন সিমি গারেওয়ালকে জড়িয়ে এক মজার ঘটনা। সিমি একবার তাকে ফোন করে বলেছিলেন, “গুড্ডু, আমি রেন্ডেভু শো করছি। এক দম্পতি আমাকে নয়টা ভ্যানিটি ভ্যানের লিস্ট পাঠিয়েছে।” ফারাহ চোখ বড় বড় করে জিজ্ঞেস করলেন, “নয়টা?” রাকেশ হাসতে হাসতে বললেন, “আমিও চমকে গিয়েছিলাম! সেদিন রাতে ঘুমই আসেনি। মনে হচ্ছিল, হৃতিকও কি একদিন এমন দাবিদার হয়ে উঠবে?”

Prosenjit Chatterjee: হারালেন দীর্ঘদিনের সঙ্গীকে, শোকে কাতর 'মিস্টার …

Advertisment

পরদিন তিনি ড্রাইভার সুশীলকে ফোন করে জানতে চাইলেন, “আমাদের কয়টা ভ্যান আছে? অন্তত ৩-৪টা তো হবে?”
সুশীল শান্তভাবে জবাব দিলেন, “না স্যার, মাত্র একটা।” রাকেশ তখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। ফারাহ সেই স্মৃতিকে আরও রঙিন করলেন, “স্যার, ওই সময় তো আমাদের একটাও ভ্যানিটি ভ্যান ছিল না! অভিনেতারা ঝোপের আড়ালেই জামাকাপড় বদলে নিতেন!” রাকেশ হেসে বললেন, “একদমই, এতগুলো ছবিতে কাজ করেছি, অথচ কোথাও ভ্যানিটি ভ্যান ছিল না।”

তিনি ২০১৭ সালের কাবিল ছবির সেটের কথাও বললেন। সেখানে ১০-১২টি ভ্যান পার্ক করা দেখে তিনি অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। “আমি জিজ্ঞেস করলাম, এত ভ্যানের দরকার কী? তখন শাম্মী আমাকে বলল – একটায় লাইট মাস্টার, একটায় ক্যামেরাম্যান, একটায় কোরিওগ্রাফার, দুটো নায়ক, একটা নায়িকা...” রাকেশ হেসে বললেন, “আমি ভাবলাম, এরা কখন এগুলো ব্যবহার করার সময় পায়?”

Prosenjit Chatterjee: হারালেন দীর্ঘদিনের সঙ্গীকে, শোকে কাতর 'মিস্টার …

ফারাহ নিজের অভিজ্ঞতার কথাও বললেন, "আমি এখনো বলি – আমাকে কোনো ভ্যান দেবেন না। আমি সেট ছেড়ে যাই না। আমার শুধু দরকার একটা পরিষ্কার ওয়াশরুম।" পুরোনো দিনের কথা বলতে গিয়ে রাকেশ আবেগে ভেসে গেলেন, "আমরা তখন সবাই একসাথে দুপুরের খাবার খেতাম। সেটেই ছিলো আসল আনন্দ।" 

Rakesh Roshan Hrithik Roshan