বিতর্কিত টুইটের জেরে ঝামেলায় পড়লেন চিত্রপরিচালক রামগোপাল বর্মা। এনডিএ সমর্থিত রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে একটি টুইটের জেরে বিতর্কের সূত্রপাত। দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে ‘মহাভারত’ প্রসঙ্গে টেনে এনে চিত্রপরিচালক রামগোপাল বর্মা একটি টুইটে লেখেন “যদি দ্রৌপদী রাষ্ট্রপতি হন তা হলে পাণ্ডব কারা? এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ, কৌরব কারা?”
টুইট বার্তা ভাইরাল হতেই রামগোপাল বর্মার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তেলেঙ্গানা বিজেপি নেতা জে এন রেড্ডি। তিনি অভিযোগ করেন এই ধরণের মন্তব্য তফসিলি জাতি এবং উপজাতি সম্প্রদায়কে আঘাত করা। এই মর্মে তিনি প্রখ্যাত চিত্রপরিচালকের বিরুদ্ধে পুলিশে একটি অভিযোগও করেছেন। টুইট বিতর্ক নিয়ে বিজেপি নেতা জে এন রেড্ডি এক বিবৃতিতে বলেন, “এই ধরণের টুইট তফসিলি জাতি এবং উপজাতি সম্প্রদায়কে আঘাত করার সমান, দলের তরফে চিত্রপরিচালকের বিরুদ্ধে পুলিশে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, পুলিশের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে”।
আরও পড়ুন: <‘স্যান্ড আর্টের’ মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীকে শ্রদ্ধার্ঘ্য প্রখ্যাত বালু শিল্পীর>
আরও পড়ুন: <‘হিন্দু ক্যালেন্ডার দেখেই মঙ্গলে রকেট পাঠিয়েছিল ISRO’, মাধবনের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়!>
যদিও টুইট প্রসঙ্গে চিত্রপরিচালক রামগোপাল বর্মা সাফ জানিয়েছেন নিছক মজার ছলেই এই টুইটটি করা। কারুর ব্যক্তিগত অথবা কোন সম্প্রদায়কে আঘাত করার জন্য এই টুইট করা হয়নি। তিনি বলেন, “মহাভারতে দ্রৌপদী আমার পছন্দের চরিত্র, আমি নামের সঙ্গে বাকী চরিত্রগুলোকে তুলে ধরেছি মাত্র”।যদিও তাতে চিড়ে ভেজেনি। তেলেঙ্গানার আরেকজন বিজেপি বিধায়ক রাম গোপাল ভার্মার সমালোচনা করে বলেছেন যে পরিচালক "মাতাল অবস্থায়" এই ধরনের টুইট পোস্ট করেছেন। "ভার্মা সবসময় এই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরে থাকার চেষ্টা করেন,"।