/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/22/stray-2025-08-22-12-20-21.jpg)
রেগে আগুন রাম গোপাল...
পথ কুকুরদের সরিয়ে দেওয়া হবে রাস্তা থেকে। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হবে শেল্টারে। সারমেয়দেরকে নিয়ে সুপ্রিম রায়ে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক। এমনকি, তারকারা পথে নেমেছেন সারা দেশের নানা এলাকায়। রাতের রাস্তায় যারা অনেককেই সুরক্ষা প্রদান করে থাকে, যারা পথের সঙ্গী, তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার অর্থ কী? এমনটাই বলতে শোনা যাচ্ছে সকলকে। তাঁর মধ্যেই বোমা ফাটিয়েছেন সিনে নির্মাতা রাম গোপাল ভরমা। তিনি এমনিও নানা বিষয়ে সরব। বেশিরভাগ সময় সক্রিয় থাকেন নানা কিছু নিয়েই।
এবার সুপ্রিম রায়কে সাধুবাদ জানিয়েই কুকুরপ্রেমীদের অন্ধ-বোবা বলে সম্বোধন করেছেন তিনি। রাস্তাঘাটে অনেক শিশু কিংবা মহিলা বা অনেকেই কুকুরের কামড়ের কিংবা তাড়ার শিকার হন। তাঁদের দিকটা বুঝছেন না সারমেয়প্রেমীরা? নানা সময় সিসিটিভি-তে নানা ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায় কুকুরদের অযাচিত আক্রমণের শিকার হচ্ছেন অনেকেই। রাম গোপাল বলছেন...
Bharti Singh: টাকা না দিয়ে প্রতারণা, অনুপযুক্ত স্পর্শ! জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতা জানালেন ভারতী সিং
"যারা আমাকে কুকুরবিদ্বেষী ভাবেন, তাদের উদ্দেশে আমি বলতে চাই—আপনারা কি সিসিটিভি ফুটেজে, শিশুদের কামড়ানো, আঘাত করা বা মৃত্যুর ঘটনা দেখতে পান না? জলাতঙ্কের প্রকোপ নিয়ে সরকারি রিপোর্টগুলো কি আপনারা পড়েননি? যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে- আগুন, বন্যা বা দাঙ্গা—প্রথমে তাৎক্ষণিক বিপদ সামলানো হয়, তারপর মূল কারণ ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু এখানে, যখন পথকুকুরের আক্রমণে শিশুদের প্রাণহানি ঘটছে, তখন অনেকে করুণা ও সহমর্মিতার তত্ত্ব নিয়ে বক্তৃতা দিতে ব্যস্ত। সুপ্রিম কোর্টের আদেশ কোনও বিমূর্ত নীতি নয়; এটি একটি স্পষ্ট স্বীকৃতি যে পথকুকুরের সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ জরুরি এবং মানুষের জীবন রক্ষা করাটাই এখন প্রধান অগ্রাধিকার।"
কুকুরদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবি আপলোড করেছেন তিনি। তাঁদের জড়িয়ে ধরে রামগোপাল লিখলেন, আমি কুকুরদের খুব ভালবাসি, যতটা না ওরা আমায় ভালবাসে। একটি ভিডিও তিনি শেয়ার করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, একজন মানুষ কুকুরকে আদর করছেন, কিন্তু শেষমেশ সেই সারমেয় তাঁকে আক্রমণ করে বসে। ফিল্ম নির্দেশক পথ কুকুরদের নিয়ে বেশ কিছু কথাও উল্লেখ করেছেন। তাঁর কথায়...
Actor Death News: চলচ্চিত্র ও টিভি জগতে নক্ষত্রপতন, কাঁদিয়ে চলে গেলেন অভিনেতা
"বেওয়ারিশ কুকুরের সমস্যা এমন একটি ক্ষেত্র, যেখানে আবেগ, জননিরাপত্তা, আইন এবং প্রাণী অধিকারের প্রশ্ন একসাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আমি বিশেষজ্ঞ নই, তবে সাধারণ জ্ঞানের আলোকে আমার পর্যবেক্ষণ হলো- সমাধানের দুটি স্তর রয়েছে: স্বল্পমেয়াদি নিয়ন্ত্রণ এবং দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত পদক্ষেপ।" তিনি আরও বলছেন...
১) স্কুল, বাজার, আবাসিক এলাকা ও বস্তির আশপাশ থেকে অবিলম্বে বেওয়ারিশ কুকুর অপসারণ করতে হবে।
২) বিশেষ কুকুর স্কোয়াড গঠন করে তাদের দায়িত্ব দিতে হবে আক্রমণাত্মক বা অসুস্থ কুকুর শনাক্ত ও অপসারণের। যে কোনও মারাত্মকভাবে আক্রমণাত্মক বা ক্ষিপ্ত কুকুরকে অবিলম্বে নিরাপদভাবে সরিয়ে দিতে হবে, যদি না কেউ দত্তক নিতে চায়।
৩) পশু জন্মনিয়ন্ত্রণ (স্টেরিলাইজেশন) ও টিকাদান কর্মসূচি তৎপরতায় বাড়াতে হবে। শুধু আনুষ্ঠানিকতা বা প্রচারের জন্য নয়, বরং বাস্তব ফলাফলের ভিত্তিতে দলগুলিকে পুরস্কৃত করতে হবে।
৪) কুকুর খাওয়ানোর জন্য নির্দিষ্ট স্থান ও সময় নির্ধারণ করতে হবে, নিবন্ধন ও সরকারি তদারকির মাধ্যমে।
৫) রাস্তার ধারে এলোমেলোভাবে খাওয়ানো অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য করতে হবে।
৬) দত্তক গ্রহণে উৎসাহ দিতে করছাড়, আবাসন বা পৌর ফি মওকুফের মতো প্রণোদনা চালু করা যেতে পারে।