পর্দার রাবণ বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে অরবিন্দ ত্রিবেদীর (Arvind Trivedi) মুখ। দশাশয়ী দশানন গোছের চেহারা। রাবণ অবতারে দর্শকদের অভিশাপ কুড়িয়েছিলেন বেজায়। যা একজন অভিনেতার কাছে পুরস্কারপ্রাপ্তির মতোই বটে! রাম-সীতা অরুণ গোভিল এবং দীপিকা চিকলিয়ার পাশপাশি তাঁর অভিনয় ছিল দেখার মতো। টেলি-পর্দার অতিপরিচিত ভিলেন মানেই নাম উঠত 'রাবণ' অরবিন্দের। আর সেই অভিনেতাই পিতৃপক্ষে, দেবীপক্ষ সূচনার ঠিক আগে চিরতরে বিদায় নিলেন ইহজগৎ থেকে। মঙ্গলবার গভীর রাতে পরলোক গমন করেছেন অরবিন্দ ত্রিবেদী। যার প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদিও (Narendra Modi)।
Advertisment
We have lost Shri Arvind Trivedi, who was not only an exceptional actor but also was passionate about public service. For generations of Indians, he will be remembered for his work in the Ramayan TV serial. Condolences to the families and admirers of both actors. Om Shanti. pic.twitter.com/cB7VaXuKOJ
বুধবার সকালে অভিনেতা-রাজনীতিক অরবিন্দের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোকের ছায়া নেমে আসে বিনোদনজগতে। শোকবার্তা জ্ঞাপন করেন টেলিপর্দার রাম-সীতা অরুণ গোভিল (Arun Govil), দীপিকা চিকলিয়া (Dipika Chikhalia) এবং লক্ষণ সুনীল লাহিরও (Sunil Lahri)।
Bahut dukhad Samachar hai ki Hamare Sabke Pyare Arvind bhai (Ravan of Ramayan) Ab Hamare bich Nahin Rahe😥 Bhagwan Unki Atma ko Shanti De...I am speechless I lost father figure, my guide, well wisher & gentleman ... 🙏😥 pic.twitter.com/RtB1SgGNMh
आध्यात्मिक रूप से रामावतार का कारण और सांसारिक रूप से एक बहुत ही नेक,धार्मिक, सरल स्वभावी इंसान और मेरे अतिप्रिय मित्र अरविंद त्रिवेदी जी को आज मानव समाज ने खो दिया। नि:संदेह वे सीधे परमधाम जाएंगे और भगवान श्रीराम का सानिध्य पाएंगे।🙏💐
রামানন্দ সাগরের হাত ধরে 'রামায়ণ' (Ramayan) ধারাবাহিকের সুবাদে বেজায় জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন অরবিন্দ। সারা জীবন ধরে সেই পরিচয়েই অনুরাগীদের কাছ থেকে ভালবাসা পেয়ে এসেছেন। বয়স হয়েছিল ৮২। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে গিয়েছিল। বুধবার তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
টেলিভিশনে 'রামায়ণ' ছাড়াও একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন গুজরাতের এই অভিনেতা। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিতেও পদার্প করেছিলেন। ১৯৯১ সালে বিজেপির তরফে টিকিট পেয়ে সবরকণ্ঠ আসন থেকে জিতেছিলেন। লোকসভা সাংসদও ছিলেন অরবিন্দ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন