একেই বাংলা সিনেমার ব্যবসায় ভাঁড়ে মা ভবানী! উপরন্তু ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে বাক-বিতণ্ডা, চিমটি কাটার অন্ত নেই। ছবি ব্যবসা করুক বা না করুক, কটাক্ষ-সমালোচনা রয়েছে বহাল তবিয়তে। টলিউড প্রযোজক এর আগে অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে নিয়ে পড়েছিলেন, এবার জিৎ মদনানির 'চেঙ্গিজ' নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু করেছেন! সোশ্যাল মিডিয়ায় উঁকি দিলেই নেটিজেনদের এমন মন্তব্য চোখ এড়াবে না।
তিনি রানা সরকার। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় থেকে অনির্বাণ ভট্টাচার্য, রাবুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়রাও তাঁর কটাক্ষ থেকে বাদ যাননি। এবার জিৎ-কে খোঁচা দিয়ে নেটপাড়া সরগরম করলেন প্রযোজক। একের পর এক পোস্টে যেভাবে টলিউড সুপারস্টারকে বিঁধেছেন, তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে একেবারে।
এই ইদের মুক্তি পেয়েছে ‘চেঙ্গিজ’। প্রথমবার কোনও বাংলা সিনেমা একই দিনে হিন্দি ভাষাতেও মুক্তি পেয়েছে গোটা দেশে। নীরজ পাণ্ডের গল্প অবলম্বনেই প্রথমবার বলিউডে পা রেখেছেন জিৎ। কোনও ডাকসাইটে বলিপাড়ার ব্যানারে নয়, একাই করে দেখিয়েছেন কেরামতি। যা কিনা নিঃসন্দেহে গর্বের। ওই একইদিনে রিলিজ করেছে সলমন খানের বহু প্রতীক্ষিত 'কিসি কা ভাই কিসি কি জান'। অতঃপর কড়া প্রতিযোগিতার মুখোমুখি যে হতে হয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। সেই প্রেক্ষিতেই সম্প্রতি প্রশংসা করে জিতের পিঠ চাপড়েছিলেন সৃজিত। তবে রানা সরকারের কটুক্তি সিনেমার ব্যবসা নিয়ে।
বক্সঅফিস রিপোর্ট বলছে, ইতিমধ্যেই 'চেঙ্গিজ'-এর কালেকশন মোট ৪ কোটির ওপর। তবে তা মানতে নারাজ টলিউড প্রযোজক রানা। লিখলেন, "'চেঙ্গিজ' প্রথম সপ্তাহে ১.৫ কোটি বক্সঅফিস কালেকশন করতে পারলো না। আবারও বলছি, আমাকে ভুল প্রমান করতে প্রোডাকশন হাউস অফিসিয়াল স্টেটমেন্ট দিক। বাকি যারা বেশি কালেকশন হয়েছে বলছে বিভিন্ন সূত্রে তার কোনো সত্যতা নেই। আর আমাকে গালাগাল দিয়ে সত্যিটা আটকানো যাবে না।"
<আরও পড়ুন: ‘বাংলায় মশালা ফিল্ম ফেরানোর গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ..’, ‘চেঙ্গিজ’ জিতের পিঠ চাপড়ালেন সৃজিত>
আরেক পোস্টে তাঁর মন্তব্য, "আরে ভাই, দর্শক যদি সিনেমা হলে না যায় তাহলে এই 'কানা সরকার'-এর কী দোষ? সুপারস্টার, দাদা থেকে কাকু হয়ে গেলেন, এখনও বুঝলেন না বাংলার দর্শক কোন সিনেমা দেখবে আর কোনটা দেখবে না? বাংলা সাহিত্য পড়ুন জিদ্দা, অনেক আইডিয়া পাবেন।
ওহো, বাংলা পড়তে পারেন কিনা সেটা আবার আমার জানা নেই।" তবে এত্ত শোরগোলের পর শেষমেশ ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে 'চেঙ্গিজ'-এর প্রশংসা করলেন রানা। লিখলেন, "সুপারহিট হল 'চেঙ্গিজ' সারা দেশে বাংলা সিনেমাকে গৌরবান্বিত করেছে। বক্সঅফিস কালেকশন কত হল সেগুলো পরোয়া করা উচিত না। জিৎ-এর পরের সিনেমা সুপারহিট করুন। বাংলা সিনেমার জয় হোক..।"