উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীকে (Mayawati) নিয়ে প্রকাশ্যে কু-মন্তব্য, ঠাট্টা করার জের। রাষ্ট্রসংঘের দূতের পদ থেকে সরানো হল রণদীপ হুডাকে (Randeep Hooda)। এযাবৎকাল কনভেনশন ফর মাইগ্রেটরি স্পেসিজ অফ ওয়াইল্ড অ্যানিমেলস (CMS)-বিভাগের দূত ছিলেন অভিনেতা। তবে, মায়াবতী সম্পর্কে কু-মন্তব্যের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল বাঁধে নেটদুনিয়ায়। বলিউড অভিনেতাকে গ্রেপ্তার করার দাবিও ওঠে নেটদুনিয়াজুড়ে। এরপরই রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) দূতের পদ থেকে অপসারিত করা হয় রণদীপ হুডাকে।
কনভেনশন ফর মাইগ্রেটরি স্পেসিজ অফ ওয়াইল্ড অ্যানিমেলস (সিএমএস) - (Convention for the Conservation of Migratory Species of Wild Animals) বিভাগের রাষ্ট্রদূত হিসাবে জাতিসংঘের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন এযাবৎকাল। তবে মায়াবতীকে নিয়ে এক ভরা সেমিনারে বর্ণবিদ্বেষী, লিঙ্গবৈষম্যমূলক কটুক্তি করতে শোনা যায় তাঁকে। ২০১২ সালের সেই ভিডিও-ই দিন কয়েক ধরে নেটদুনিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। যা ভাইরাল হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন রণদীপ। অভিনেতাকে দূতের পদ থেকে সরানোর খবর নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এক আধিকারিক।
<আরও পড়ুন: ত্রাণ দিতে গিয়ে ‘চড় খেলেন’ রুদ্রনীল, ‘খাবারে বিষ মেশানোর’ অভিযোগ তৃণমূলের>
সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের কথায়, রণদীপের এমন মন্তব্য নীতিগতভাবে রাষ্ট্রসংঘ বিরুদ্ধ। বর্ণবিদ্বেষী, লিঙ্গবৈষম্যকে মোটেই সংগঠন সমর্থন করে না। পাশাপাশি তিনি এও জানান যে, ২০১২ সালের ওই ভিডিও সম্পর্কে অবগত ছিলেন না তাঁরা, তাই ২০২০ সালে তাঁকে মাইগ্রেটরি স্পেসিজ অফ ওয়াইল্ড অ্যানিমেলস-এর দূত হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গতবছর অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশবিদ সচা ডেঞ্চ এবং ব্রিটিশ আইএএন রেডমন্ডের সঙ্গে ওই একই পদে দূত হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন রণদীপ। ২০২৩ সাল অবধি কাজের চুক্তি ছিল। কিন্তু বর্ণবিদ্বেষী, লিঙ্গবৈষম্যমূলক মন্তব্য করায় সেই পদ থেকে সময়ের আগেই অব্যহতি দেওয়া হল অভিনেতাকে।
<আরও পড়ুন: Cyclone Yaas: বুক জলে নেমে ছাত্রদের নিয়ে বাঁধ মেরামতিতে ব্যস্ত সুন্দরবনের শিক্ষক, ‘আপ্লুত’ সৃজিত>
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন