মিসেস চ্যাটার্জির ভূমিকায় রানি মুখোপাধ্যায়। এদিকে সামনে তখন দাঁড়িয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন আসল যে মানুষটি, সাগরিকা চক্রবর্তী। তাঁকে দেখে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না অভিনেত্রী। কেঁদে ফেললেন রানি।
সাগরিকা চক্রবর্তীর জীবনের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি এই সিনেমা। নিজের সন্তানকে ফিরে পাওয়ার এক আমরণ লড়াই! একজন মা যে কি করতে পারে ঠিক সেই প্রমাণ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ছবির আগে এবং পরেও রানির সঙ্গে কখনোই দেখা হয়নি তাঁর। যদি হত তাহলে কী বলতেন তিনি? হোস্ট করণের তরফে প্রশ্ন ছিল এমনই..। উত্তরে রানি বললেন, "আমি খুব আবেগী হয়ে পড়েছি। আমিও একজন মা, আমি ওকে এটুকুই বলতে চাই যে তোমার ভেতর দিয়ে কী গেছে আমি জানি, আমি বুঝতে পারি"। কেঁদে ফেললেন অভিনেত্রী। শাড়ির আঁচল দিয়ে মুছে নিলেন চোখের জল।
তারপর? একে অপরকে জড়িয়ে ধরলেন দুই মা। বাংলায় কুশল বিনিময় করলেন দুজনে। যেন কত গল্প জমে আছে দুজনের। দুজনকে মিলিয়ে দিলেন সকলে। রানি মুখোপাধ্যায় বললেন, "আমি নয়! আসল হিরোইন তো ওই, ওর উদ্দেশ্যে একটু হাততালি দিন"। এখানেই শেষ নয়। সাগরিকার জীবনের ওপর তৈরি এই ছবি। তার নিজের কেমন লাগছে? উত্তরে তিনি বললেন...
আরও পড়ুন < ‘আমাদের বাঙালিদের মধ্যে এসব হয় না…’, বাংলার সংস্কৃতি নিয়ে আবারও সরব শর্মিলা! >
"আমি যখন দেখলাম ছবিটা, সব পুরনো স্মৃতিগুলো ভেসে এল আবার। রানি ম্যাম যেটা করেছেন, অনবদ্য। এর থেকে বেশী আর কিছু হয় না। আমার মনে হচ্ছিল আমিই দৌড়াচ্ছি। উনি এত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, এটুকুই বলতে পারি যা দেখানো হয়েছে ছবিতে সেটা সবটা সত্যি। আমার দুই ছেলে মেয়ে দেখলে ওরাও কেঁদে ফেলবে"।
উল্লেখ্য, ছবিতে রানি মুখোপাধ্যায় ছাড়াও রয়েছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। প্রথম হিন্দি ছবিতে কাজ করছেন তিনি। একজন মায়ের লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছেন পরিচালক করণ জোহর নিজেও। বললেন, আপনাকে স্যালুট এবং আপনার বাচ্চাদের অনেক আশীর্বাদ। ওরা ধন্য যে মা পেয়েছে আপনার মত।